চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম

 

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। এবং আরো জানতে পারবেন নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম1
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। এবং আরো জানবেন নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম এবং নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

পোস্ট সূচিপএঃ চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম

নিম পাতার উপকারিতা

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম এবং নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন ভাবে পড়ুন। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষই চুলকানির সমস্যাতে দেখা যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি হয়ে থাকে। চুলকাতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু চুলকাতে চুলকাতে পরবর্তীতে দেখা যায় সেই জায়গায় ঘা হয়ে যায়।

তাই আপনি যদি খুব দ্রুত চুলকানি দূর করতে চান তাহলে আপনি নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা ব্যবহার করলেন চুলকানি খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি যদি ফর্সা হতে চান তাহলে এই নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া আপনি নিমপাতা চুলেও ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতা আমাদের জন্য অনেক উপকারী। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই কি কি উপকারিতা রয়েছে?

ত্বকের জন্য উপকারিতাঃ আপনি যদি নিম পাতা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিম পাতায় রয়েছে ভিটামিন ই যা চর্ম রোগের জন্য খুব উপকারী। নিমপাতা ব্যবহার করলে ত্বকের চর্মরোগ গুলো দূর হয়ে যায় এবং ত্বকের সৌন্দর্য ও যোগ্যতা ফিরে আসে।

চুলের জন্য উপকারিতাঃ প্রতিনিয়ত ভাবে নিম পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া কমে যাবে। এবং আপনার চুল মজমুত রাখতে এবং চুলকে কালো এবং ঘন রাখতে সাহায্য করবে। এবং কে নিমপাতা নিলে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ব্রণের সমস্যাঃ আমাদের মধ্যে অনেকেরই ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে আপনি প্রতিনিয়ত ভাবে নিম পাতা বেটে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের ব্রণ দূর হয়ে যাবে এবং আপনার ত্বকের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যাবে।

শরীরের দুর্গন্ধ দূর করেঃ আমরা অনেকেই কাজ করার পরে ঘেমে যেয়ে শরীর দুর্গন্ধ হয়ে যায়। এই দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি গোসল করার সময় নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। তাই দুর্গন্ধ থেকে দূর করার জন্য গোসল করার সময় প্রতিনিয়ত ভাবে নিম পাতা ব্যবহার করে গোসল করবেন।

চুলকানির জন্য উপকারীঃ আমাদের মধ্যে মাঝে মাঝেই অনেকেরই চুলকানি হয়ে থাকে। এই চুলকানি দূর করার জন্য আপনি নিম পাতা বেটে যেখানে চুলকানি হয়েছে সেখানে লাগাবে আপনার চুলকানি খুব দূরত্বই ঠিক হয়ে যাবে। চুলকানির জন্য নিমপাতা অনেক উপকারী।

জ্বরের জন্য উপকারিতাঃ আমাদের জ্বর আসলেই ডাক্তারের কাছে চলে যায় যে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খায়। ওষুধ না খেয়েই আপনি জ্বর খুব দ্রুতই দূর করতে পারবেন। আপনি যদি নিমপাতা খান তাহলে আপনার জ্বর খুব দ্রুত সেরে যাবে।

রক্ত পরিষ্কার করেঃ আপনি যদি নিম পাতার রস প্রতিদিন খেতে পারেন তাহলে আপনার রক্তে থাকা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যাবে এবং আপনার রক্ত পরিষ্কার থাকবে। তাই রক্ত পরিষ্কার করার জন্য প্রতিনিয়ত ভাবে নিম পাতা রস খাবেন।

চর্ম রোগ দূর করেঃ যাতে শরীরে চর্মরোগ রয়েছে তারা প্রতিনিতভাবে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ নিমপাতা ইনফেকশন দূর করতে অনেক উপকারী। তাই যাদের চর্মরোগ রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত ভাবে নিম পাতা খেতে পারেন।

আমরা এত সময় জানলাম নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আপনি নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। নিমপাতা ব্যবহার করলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী রয়েছে। তাই প্রতিনিয়ত ভাবে আমরা নিম পাতা ব্যবহার করতে পারি। তাহলে চলুন জেনে নেই চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানানো হলো।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম

আপনি কি চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন আমরা এখন জেনে নেই চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। প্রায় কম বেশি অনেক মানুষের এই চুলকানির রোগ টি হয়ে থাকে। চুলকানির কারণে আমাদের মাঝে মাঝে অস্থির লাগে। যখন আমাদের চুলকানি হয় তখন চুলকাতে অনেক ভালো লাগে।

কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যে জায়গায় আমরা চুলকায় সেই জায়গায় ঘা হয়ে যায়। চুলকাতে চুলকাতে খুব খারাপ একটা অবস্থা হয়ে যায়। তাই যাদের চুলকানোর সমস্যাটি রয়েছে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু তাদের জন্য। আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জেনে যাবেন চুলকানিতে নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।

তাই চলুন চুলকানিতে নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বিস্তারিত জেনে নিন।আপনি যদি নিম পাতা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুলকানি খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে। এই নিম পাতার দিয়েও অনেক ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়ে থাকে।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম2
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন অনেক আগে থেকেই এই নিম পাতা মানুষ ব্যবহার করে থাকে।এই নিম পাতার মধ্যেও ওষুধের গুনাগুন থাকে, সেই গুনাগুন গুলো আপনার চুলকানি খুব দ্রুত ঠিক করতে সাহায্য করে।তাছাড়াও অন্যান্য রোগ নিরাময় করতে এই নিম পাতা খুব উপকারী। যদি আপনার শরীরে চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিম পাতা পানিতে দিয়ে গোসল করতে পারেন বা নিম পাতা বাটা করে নিয়ে সারা শরীরে নিয়ে রাখতে পারেন।
এতে করে দেখা যাবে আপনার চুলকানি আগের থেকে অনেকটা ভালো হয়ে যাবে। কিছুদিন নিম পাতায় নিলে চুলকানি একদম ঠিক হয়ে যাবে। তা ছাড়াও আপনার শরীরের এলার্জি ও দূর হয়ে যাবে।আপনার যদি চোখে চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিমপাতা পানিতে সেদ্ধ করে নিবেন তারপরে সেই পানি ঠান্ডা হয়ে যাবার পরের চোখে নিবেন । এতে করে দেখা যাবে আপনার চোখের চুলকানি দূর হয়ে যাবে। নিম পাতা ব্যবহার করলে শরীরের জন্য খুব উপকারী।

আপনি যদি প্রতিদিন নিম পাতার রস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রোগ জীবাণু আক্রান্ত করতে পারবে না। এছাড়াও নিম পাতার রস খেলে শরীরের জন্য খুব উপকারী। বুঝতে পারছেন নিম পাতার কত গুনাগুন রয়েছে । আশা করি আপনি চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারছেন এবং বুঝতে পারছেন।

নিম পাতা চুলে দিলে কি হয়

আমরা নারী ও পুরুষ অনেক সময় চুলের সমস্যা নিয়ে খুব চিন্তায় থাকে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের চুল ঝরে পড়ে যায়। আপনি যদি নিম পাতা সঠিকভাবে চুলে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।

চুলে নিমপাতা দেওয়ার সঠিক নিয়ম রয়েছে, আপনি যদি সেই নিয়ম অনুযায়ী নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুল অনেক সুন্দর ও ঝলমলে হয়ে উঠবে। তাই চলুন কিভাবে আপনি নিম পাতা চুলে ব্যবহার করবেন তারা সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
  • প্রথমে আপনি যেটুকু চুলে নিমপাতা লাগবে সেই পরিমাণ অনুযায়ী মত নিম পাতা নিন।
  • তারপর সেই নিম পাতা আপনি পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  • এরপর পরিষ্কার করা নিমপাতা পানিতে ভিজিয়ে বেটে পেস্ট তৈরি করুন।
  • তারপর আপনার চুলের গোড়ায় ও মাথার ত্বক নিম পাতাভালো করে লাগিয়ে নিবেন।
  • তারপর যত সময় না চুলে লাগানো নিমপাতা শুকনো হয়ে যায় তত সময় আপনি মাথায় লাগিয়ে রাখবেন।
  • এরপর আপনি গোসল করার সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আপনি যদি এই সমস্ত নিয়ম অনুযায়ী নিমপাতা চুলে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চোখের গোড়ায় অনেক মজবুত হবে। এতে করে আপনার চুল পড়া থেকে বিরত থাকবে। তার পাশাপাশি আপনার মাথায় নতুন চুল গজাতেও শুরু করবে।আপনি যদি এর থেকেও ভালো কিছু পেতে চান তাহলে আপনি যখন নিমপাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর বাটা করবেন তখন তার সাথে অল্প পরিমাণে মধু বা রেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
যদি আপনার এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই নিমপাতা ব্যবহার করবেন। এতে করে এলার্জি দূর করতে আপনাকে নিম পাতা সহযোগিতা করবে।নিমপাতা চুলের জন্য খুব উপকারী। নিম পাতার উপকার গুলো আপনার মাথার খুকশি, চুল পড়া কমাতে নিমপাতা সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও নিম পাতা চুলের গোড়াকে শক্ত করে। আশা করি আপনি চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে গেছেন।

নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা এখন জানবো নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেই আমরা কিভাবে নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায়। আমরা জানি আদিমকাল থেকেই নিমপাতা ব্যবহার করে রূপচর্চা হয়ে থাকে। এবং কি এখনকার মানুষও নিমপাতা ব্যবহার করে রূপচর্চা করে থাকে। এই নিম পাতায় ব্যবহার করে সহজেই ত্বক ফর্সা করা যায়। যদি আপনার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের কাটার দাগ বা ফোটের দাগ হয়ে তাকে তাহলে আপনি সেইসব দাগ ত্বকের সঙ্গে মিল করতে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন।

নিম পাতায় রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়া ও এন্টি ফাঙ্গাল যা আপনার ত্বকের সমস্ত দাগ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের ভিতরে অনেক সময় অনেক ময়লা থাকে যা ব্যাকটেরিয়া মত এগুলো থেকে মুখে বোরন সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমরা মুখের ব্যাকটেরিয়া গুলো সরাতে নিমপাতা ব্যবহার করব। নিমপাতা মুখে ব্যবহার করার কিছু নিয়ম কানুন জেনে নিন।
  • প্রথমে আমরা পরিমাপ মত কিছুটা নিম পাতা নেব।
  • এরপর সেই নিমপাতা গুলো পানিতে ভিজিয়ে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে নেব।
  • এরপর গরম পানিতে একটু সময় ভিজিয়ে রাখবো। ভিজিয়ে রাখার পর নিমপাতা বেটে পোস্ট তৈরি করব।
  • এরপর পোস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে মুখের চারিপাশ দিয়ে লাগিয়ে নিব।
  • লাগিয়ে নেয়ার পরে কিছু সময় পরে নিমপাতা শুকিয়ে যাবে তখন আমরা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে নেব।
আমরা এত সময় আলোচনা করলাম নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আশা করি আপনি নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এতে করে আপনার ত্বকের যেসব দাগ থাকবে সে সব দাগগুলো ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে যাবে। এছাড়াও সবথেকে ভালো হয় আপনি নিম পাতার সাবান ব্যবহার করবেন। নিম পাতার সাবান ত্বককে সুন্দর রাখতে বেশ ভালো কাজ করে।

আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখতে চান তাহলে প্রতিনিয়ত নিয়ম অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নিবেন।ত্বক সুন্দর করতে শুধু নিম পাতা ব্যবহার করলে ত্বক সুন্দর হয় না। ত্বককে সুন্দর রাখতে গেলে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান। নিমপাতা ব্যবহার করেও যদি আপনার তো সুন্দর ও সুস্থ না থাকে তাহলে আপনি চর্ম রোগর ডক্টরের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তবে আদিমকাল থেকেই যেহেতু নিমপাতা ত্বকের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে তাই আমার মতে নিম পাতা ব্যবহার করলেই আপনার ত্বক সুন্দর ও সুস্থ থাকবে।

নিমপাতা মুখে নিলে কি হয়

আমরা অনেকেই ত্বকের জন্য নিম পাতা ব্যবহার করে থাকে। তবে মুখে নিম পাতা বেটে দিলে কি হয় এটা অনেকেই জানে না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে নিমপাতা বেটে মুখে দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নিন।

নিম পাতায় রয়েছে অ্যাটি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এই নিম পাতা ব্রণ সহ ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে এই নিম পাতা সাহায্য করে।

মুখের যেসব ময়লা গুলো দেখা যায় না নিম পাতা মুখে ব্যবহার করলে সেই সব ময়লা পরিষ্কার করতে এই নিম পাতা সাহায্য করে।আমাদের মুখে মাজে মাজে ছোট ছোট কিছু ফোট দেখা দেয়। সেই সব ফটোগুলো দূর করতে নিম পাতা বেটে মুখে নিলে ফোট খুব দ্রুত ঠিক করতে সাহায্য করে।

আমরা যদি নিমপাতা বেটে মুখে নেই তাহলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। অনেকেরই বয়স বৃদ্ধি হয়ে যাওয়ার পরে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায় তখন আপনি যদি নিম পাতা বেটে মুখে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতার এবং সৌন্দর্য ফিরে আসবে।

নিম পাতার বাটা ত্বকে ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত তেল কূপেল মধ্যে লুকিয়ে থাকা যেসব ময়লা আবর্জনা রয়েছে সে সব পরিষ্কার করতে এই নিম পাতা সাহায্য করবে। আপনি যখন নিম পাতা তোকে ব্যবহার করবেন তখন আপনি নিম পাতার বাটার সাথে দুইটা চামচ চন্দন পাউডার এবং কিছু পরিমাণ গোলাপ জল দিয়ে প্যাকটি বানিয়ে ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনার তপনের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ফোট থেকে রেহাই পাবেন।

খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। খালি পেটে নিম পাতা খেলে উপকারিতা হয় নাকি অপকারিতা হয় এই সম্পর্কে অনেকেই জানে না। তাই আমরা এখন আলোচনা করব খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এবং খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি কি হয়।
নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
পেটের ব্যাথা দূর করেঃ যাদের পেটের ব্যথা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস খেতে পারেন। এতে করে আপনার পেটের সমস্ত ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

চোখের সমস্যা দূরঃ আমাদের বয়স হয়ে যাওয়ার পরে আমরা অনেকেই চোখে কম দেখতে পাই। বা অনেকেরই চোখে সমস্যা থাকে। এই সমস্যা দূর করার জন্য আপনি প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস খেতে পারেন। এতে করে আপনার চোখের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ডায়াবেটিস রোগীদের উপকারীঃ যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা প্রতিদিন নিম পাতার রস খেলে তাদের ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকতে সাহায্য করবে। আর যাদের ডায়াবেটিস নেই তারা প্রতিদিন নিম পাতার রস খেলে তাদের আর কখনোই ডায়াবেটিস হবে না আশা করা যায়।

ত্বকের সমস্যা দূর করেঃ আমাদের ত্বকে বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট ফোট দেখা দেয় এবং ব্রণ এর সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা থেকে দূর হওয়ার জন্য আপনি নিমপাতা বেটে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ব্রণ দূর হয়ে যাবে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

জ্বরের উপকারিতাঃ আমাদের যখন জ্বর হয় তখন আমরা বিভিন্ন ফার্মেসিতে যেয়ে অনেক ধরনের ওষুধ খায়। আপনি কি জানেন ওষুধ খাওয়া বাদেও আপনার জ্বর খুব দ্রুতভাবে ঠিক হয়ে যাবে। আপনি যদি নিম পাতার রস প্রতিনিয়ত ভাবে খেতে পারেন তাহলে আপনার জ্বর খুব দূরত্ব হবে দূর হয়ে যাবে।

নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতাঃ প্রতিদিন সকালে আপনি যদি নিম পাতার রস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রতিনিয়ত ভাবে সকালে নিম পাতা রস খাওয়া।

আমরা এত সময় আলোচনা করলাম খালি পেটে নিম পাতার রস খাবার উপকারিতা সম্পর্কে। আশাকরি আপনি খালি পেটে নিম পাতার রস উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে আপনার শরীরের যাবতীয় বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়া।

নিম পাতা খাওয়ার অপকারিতা

নিম পাতাতে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি রয়েছে অপকারিতা। মনে রাখবেন সবকিছুতে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কোন না কোন দিক অপকারিতা ও রয়েছে। অতিরিক্ত নিমপাতা ব্যবহার করলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়বেন। তাই আমাদের উচিত নিয়ম মেনে নিম পাতা ব্যবহার করা। অথবা একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিম পাতা ব্যবহার করা। অতিরিক্ত নিমপাতা ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরের নানান ধরনের সমস্যা হবে। তাহলে আসুন জেনে নেই কোন কোন সমস্যায় আমরা পড়তে পারি।

কিডনিতে সমস্যাঃ অতিরিক্ত নিমপাতা খাওয়ার ফলে আমাদের কিডনিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত নিমপাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

হজম শক্তি সমস্যাঃ আমরা যদি অতিরিক্ত নিম পাতার রস খেয়ে থাকে তাহলে আমাদের হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দিবে। তাই অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়া আমাদের কখনোই উচিত হবে না। নিয়ম অনুযায়ী নিম পাতা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

ফুসফুসের সমস্যাঃ আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাদে অতিরিক্ত নিমপাতা খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরের সবথেকে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিবে ফুসফুসের সমস্যা। ফুসফুস নষ্ট হয়ে গেলে আপনি কিন্তু যখন তখন মারা যেতে পারেন। তাই অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়া যাবে না।

লিভারের সমস্যাঃ অনেক সময়ই অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়ার ফল হবে লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। কারণ নিম পাতা তে রয়েছে ভিটামিন এ। তাই অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আমরা এত সময় আলোচনা করলাম নিম পাতার অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আপনি নিম পাতার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছে। আপনি যখন নিমপাতা খাবেন তখন অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার সঠিক নিয়ম অনুযায়ী নিম পাতা খাবে। তা না হলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। আর যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খান তাহলে আপনার কোন সমস্যা হবে না। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত নিমপাতা কখনোই খাবেন না।

লেখকের মন্তব্যঃ চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে এবং নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আশা করি আপনি নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম সম্পকে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। আমাদের পোস্ট যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শিয়ার করে দিন। এরকম পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন "ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাব্বির গাইড বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url