কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি বিস্তারিত জেনে নিন
কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের পড়তে পারেন। এই আর্টিকেলে জানানো হবে কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
কুষ্টিয়াতে দেখার মত অনেক স্থানে রয়েছে। তার মধ্যে সবথেকে বিখ্যাত স্থান হলো বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি এবং লালন শাহ মাজার এই দুইটি জিনিস আমাদের কুষ্টিয়া জেলা সব থেকে বেশি বিখ্যাত। চলুন কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি সম্পর্কে জেনে নেই।
পোস্ট সূচিপএঃ কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি
কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি
কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই। অনেকেই কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে চান। যদি আপনি কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় সেরা ৫টি স্থান জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন। এই আর্টিকেলে আপনি সম্পূর্ণভাবে জেনে যাবেন কুষ্টিয়া জেলার সেরা ৫ দর্শনীয় স্থান কি কি।
অনেকে বাইরে থেকে কুষ্টিয়া জেলাতে ভ্রমণ করতে আসেন। কিন্তু তারা জানেন না কুষ্টিয়া জেলায় সবথেকে সেরা পাঁচটি দর্শনের স্থান সম্পর্কে। কিন্তু আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন কুষ্টিয়া জেলাতে কোন কোন জায়গায় সেরা ৫ টি দর্শনে স্থান রয়েছে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি
শিলাইদহ কুমারখালী কুষ্টিয়া তে অবস্থিত এই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি। কুষ্টিয়া শহর থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরত্বে কুমারখালী উপজেলায় শিবাইদাহ ইউনিয়নে আড়াই বিঘা জমির উপরে ৩ তলা কুঠিবাড়ি অবস্থিত। ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কুষ্টিয়া জেলাতে জমিদার হয়ে আসেন। তার পূর্ববর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা প্রিন্স দাঁড়কানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এই অঞ্চলে জমিদারি করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি করেন। এই সময়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে বসেই তিনি রচনা করলেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ চিত্রা, গীতাঞ্জলি, সোনার তৈরি ইত্যাদি কাব্য তিনি অনুবাদ করেন। তিনি এই সময়ের মধ্যেই তার বিখ্যাত যেসব রচনাগুলো ছিল তিনি কুষ্টিয়া জেলাতে বসেই এইগুলো করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়িকে মূলত নাম বলা হয় কুঠি বাড়ি।
এই কুঠি বাড়িতে রয়েছে রুমের সংখ্যা ১৮ দরজা রয়েছে ১৭ টি এবং জানালার সংখ্যা ৩০ টি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি তিনতলা। তিনি তিন তলায় বসে কবিতা রচনা করতেন। এবং ছাদে বসে প্রকৃতির সুভাষ মুগ্ধ হতেন। কুঠিবাড়ির জানালা দিয়ে এখন শুধু পদ্মা নদী দেখা যায়। আর আগে পদ্মা গড়াই দুটো নদী দেখা যেত। কোভিদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন ঘরে বসেই শুনতে পেত নদীর ঢেউ এবং নদীর ডাক।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুযোগ পেলেই তিনি চলে যেতেন পদ্মা নদীর পারে। কখনো তিনি পদ্মা নদীতে নেমে গোসল করতেন এবং আনন্দ উপভোগ করতেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কুঠিবাড়ি গুরুত্ব বেড়ে যায়। এবং এটি একটি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। 1958 সাল থেকে শিবাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি গৌরবময় স্মৃতি হয়ে রয়েছেন।
এখনো সেই কুঠিবাড়ি একটি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে। এই জাদুঘরের নিজ ও দ্বিতীয় তালায় রয়েছে ১৬ টি কক্ষ। এই ঘরের মধ্যে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুরনো ছবি রয়েছে। যেমন শিল্প রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কৃষক রবীন্দ্রনাথ, জমিদার রবীন্দ্রনাথ, মাঝি রবীন্দ্রনাথ,আর বিভিন্ন ধরনের নানান বয়সের চিত্র রয়েছে কুঠিবাড়ির মধ্যে।
এই ভবনের মধ্যে আরও রয়েছে বেহারা পালকি, কাঠের চেয়ার, কাঠের টেবিল, পালংক,পল্টন, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস। এবং বাইরে রয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুয়া। যেখানে তিনি গোসল করতেন।এবং তার পাশে রয়েছে একটি বিশাল পুকুর। এই পুকুরের মধ্যে রয়েছে তার নৌকা এই নৌকায় করে তিনি পদ্মার চর ভ্রমণ করতেন এবং কবিতা লিখতেন।
কুঠিবাড়ির চার পাশ দিয়ে রয়েছে ফুলবাগান এবং আরো রয়েছে যুদ্ধকালীন আমগাছ। এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ির গেটের আশেপাশে অনেকগুলো কসমেটিকের দোকান রয়েছে এবং রয়েছে বিভিন্ন ধরনের হোটেলের দোকান যেখানে আপনি খেতে পারবেন। তাই আর দেরি না করবে ঘুরে আসুন শিলাইদহ কুমারখালী কুষ্টিয়া বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি থেকে।
কুঠিবাড়ির টিকিটের তথ্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি ঢুকতে অবশ্যই আপনাকে টিকিট কেটে ঢুকতে হবে। আপনি যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়িতে যাবেন তখন দেখবেন মেন একটা গেট রয়েছে ওই গেটে আপনাকে টিকিট কাটতে হবে। টিকিট না কাটলে আপনাকে কখনোই কুঠিবাড়ির মধ্যে ঢুকতে দেবে না। ওইখান থেকে টিকিট কাটা হয়ে গেলে আপনি যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে যাবেন তখন ওইখানে আপনাকে আগের টিকিটটা দেখাতে হবে। যদি দেখাতে না পারেন তাহলে আপনার জরিমানা সহ টিকিটের পরিমাণ আদায় করে নেয়া হবে। তাই অবশ্যই ঢোকার আগে আপনি টিকিট কেটে তারপরে ঢুকবেন।
টিকিটের মূল্যঃ ৫০ টাকা
ছোটদের জন্যঃ ১৫ থেকে ২০ টাকা
কুঠিবাড়ি বন্ধ এবং খোলার সময়সূচী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুঠিবাড়ি খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ২টা থেকে ২:৪৫ পর্যন্ত যারা দায়িত্ব থাকে তারা খাবার খায়। রবিবারে কুঠিবাড়ি বন্ধ থাকে। এবং মাঝে মাঝে দুইটা পর্যন্ত কুঠিবাড়ি খোলা থাকে। তাছাড়াও সরকারি যদি কোন ছুটি থাকে ঐদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ির বন্ধ থাকে।
প্রিয় পাঠক আমরা এত সময় আলোচনা করলাম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি সম্পর্কে। আশা করি আপনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। আপনি যদি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ির না ঘুরে আসেন তাহলে অবশ্যই খুব দ্রুতই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি ঘুরে আসুন। আপনার যদি মন খারাপ থাকে তাহলে আপনি ঘুরে আসতে পারেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি। তবে অবশ্যই আপনি ছুটির দিনগুলোতে আসবেন না।
প্রতি সপ্তাহে রবিবারের দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ির অফ থাকে। এই দিনে আপনি যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি ঘুরতে আসেন তাহলে আপনি কোন আনন্দই উপভোগ করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই ছুটির দিনগুলোতে না আসে যেদিন খোলা থাকবে ওই দিন এসে ঘুরে যাবেন। চলুন আরো জেনে নেই কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত ৫টি দর্শনীয় স্থান আর কি কি রয়েছে।
প্রতি সপ্তাহে রবিবারের দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ির অফ থাকে। এই দিনে আপনি যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি ঘুরতে আসেন তাহলে আপনি কোন আনন্দই উপভোগ করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই ছুটির দিনগুলোতে না আসে যেদিন খোলা থাকবে ওই দিন এসে ঘুরে যাবেন। চলুন আরো জেনে নেই কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত ৫টি দর্শনীয় স্থান আর কি কি রয়েছে।
লালন শাহের মাজার
ছেউরিয়া কুমারখালী কুষ্টিয়া স্থাপন হওয়ায় লালন শাহের মাজার। এই লালন শাহের মাজারে দেশি-বিদেশি বাউল দিয়ে মেতে ওঠে এই উৎসবটি। ১৯৬৩ সালে এই মাজারটি কুমারখালী কুষ্টিয়াতে স্থাপন করা হয়। ২০০৪ সালে সেখানেই আধুনিক মানের একাডেম ভবন নির্মাণ করা হয়। প্রতিবছর এই মাজারটিতে লালন মেলা বসে এই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের উৎসব পালন করা হয়। বাউল এসে মেলাকে মাতিয়ে তোলে।
তারা এসে গান বলে এবং বিভিন্ন ধরনের উৎসব দেখায় এবং এখানে প্রতি বছরেই কনসার্ট হয়ে থাকে। এই লালন শাহের মাজার টি কুষ্টিয়া জেলায় কুমারখালী থানার একদম শেষ প্রান্তে এই মাজারটি স্থাপন করা হয়। এই মাজার এর মধ্যে রয়েছে লালন ফকিরের কবরস্থান এবং লালন ফকিরের বাড়ি আরো রয়েছে বাউলদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বাড়ি যেখানে তারা বসে গান বলে এবং বসে গাঞ্জা খায়। এই উৎসবে প্রায় সব ধরনেরই ধর্মের লোক যায়।
লালন শাহের মাজারে আপনি যদি না দিয়ে থাকেন অবশ্যই খুব দ্রুত লালন শাহ মাজার থেকে ঘুরে আসুন। এটি কুষ্টিয়া থেকে রিকশায় উঠলে ২০ টাকা ভাড়া নেবে। আর আপনি যদি কুমারখালী থেকে ওঠেন তাহলে কুমারখালী থেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আপনার রিকশা ভাড়া দিবে। এই মাজারে ঢুকতে আপনার টিকিট কাটা লাগবে না। আপনি ইচ্ছে করলে এমনি এমনি এই মাজারটিতে প্রবেশ করতে পারবেন।
পাঁচতলা কাঠের বাড়ি
শিলাইদহ কুমার খালী কুষ্টিয়াতে অবস্থিত পাঁচতলা কাঠের বাড়ি। এই কাঠের বাড়ি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ির পাশেই। কুঠিবাড়ি থেকে এর দূরত্ব হবে ৫ টাকা ভাড়া। ৫ তালা কাঠের বাড়ি দেখতে অনেক সুন্দর। এই বাড়িতে সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়েছে কাঠ দিয়ে। এই বাড়িতে স্থাপন করা হয় ২০২১ সালে। এই বাড়ির মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের কসমেটিক এবং ভিতরে খুব সুন্দর দেখার মত পরিবেশ। পাঁচ তলা কাঠের বাড়ির মধ্যে একটি হোটেল রয়েছে যেখানে আপনি খাবার খেতে পারেন।
যারা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়িতে যাবেন তারা অবশ্যই পাঁচ তলা কাঠের বাড়ি থেকে ঘুরে আসিবেন। এই পাঁচতলা কাঠের বাড়িতে প্রতিদিনই খোলা থাকে। তাই আপনি যে দিন ইচ্ছা আপনি সেই দিনে ঘুরে আসতে পারেন এই পাঁচতলা কাঠের বাড়ি থেকে। এটি খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত। সারাদিনে পাঁচতলা কাঠের বাড়ি খোলা থাকে তাই যারা এখনো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি এবং পাঁচতলা কাঠের বাড়ি থেকে ঘুরে আসেন নি তারা খুব দ্রুতই ঘুরে আসুন।
টিকিটের তথ্য
পাঁচতলা কাঠের বাড়িতে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে একটি টিকিট কাটতে হবে। এই টিকিটটি দেখিয়ে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে পাঁচ তলা কাঠের বাড়িতে।
টিকিটের পরিমাণঃ ৪০ টাকা।
আলাউদ্দিন পার্ক
কুমারখালী কুষ্টিয়াতে আলাউদ্দিন পার্ক অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। এই আলাউদ্দিন পার্কের রয়েছে নাগরদোলা, ৬তলার একটি বাড়ি, পার্কের মধ্যে রয়েছে হোটেল এবং বিভিন্ন ধরনের দোকান। এছাড়াও পার্কের মাঝখানে রয়েছে একটি পুকুর এই পুকুর নৌকাতে ভ্রমণ করানো হয়। এবং আরো রয়েছে আলাউদ্দিন পার্ক এর মধ্যে ট্রেনের। যেখানে আপনি টিকিট কেটে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন।
তাছাড়াও রয়েছে বাচ্চাদের জন্য বা বড়দের জন্য ছোট ছোট মাইক্রো গাড়ি। যেটা আপনি চালাতে পারবেন টিকিট কাটার মাধ্যমে। এবং বাচ্চাদের জন্য রয়েছে আলাদা ভাবে একটি রুম। ওই রুমের মধ্যে বাচ্চারা অনেক ধরনের খেলা করতে পারে। এই পার্কের চারপাশের দেওয়ালের মধ্যে রয়েছে আগেকার যুগের বিভিন্ন ধরনের বড় বড় শায়েখদের ছবি। পার্কের মধ্যে চার পাস দিয়ে রয়েছে ফুল বাগান এবং রয়েছে এই পার্কের মালিক আলাউদ্দিন সাহেবের 8 তলা একটি বাড়ি।
এটা অবস্থিত কুমারখালী উপজেলা কুষ্টিয়া জেলাতে আলাউদ্দিন পার্ক নামে এটি সাংস্কৃতি পেয়েছে। কুষ্টিয়া থেকে এই পার্কে যেতে আপনার ৩০ টাকা ভাড়া লাগবে। আর আপনি যদি কুমারখালী থেকে যান তাহলে আপনার ২০ টাকা গাড়ি ভাড়া লাগবে। তাই যারা আলাউদ্দিন পার্ক ভ্রমণ করে আসেন নি তারা খুব দ্রুতই আলাউদ্দিন পার্ক ভ্রমণ করে আসুন।
আলাউদ্দিন পার্কের টিকিটের তথ্য
আলাউদ্দিন পার্কে প্রবেশ করার সময় আপনাকে অবশ্যই টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করতে হবে। টিকিট না কেটে আপনাকে পার্কের মধ্যে কখনোই প্রবেশ করতে দিবে না। এ পার্কে ঢুকার সময় আপনার সামনে যখন মেনগেট পড়বে ওই গেটের সামনে দেখবেন টিকিট কাউন্টার রয়েছে সেখান থেকে আপনাকে টিকিট সংগ্রহ করে তারপরে আলাউদ্দিন পার্কে প্রবেশ করতে হবে।
টিকিটের পরিমাণঃ সাধারণত এমনি সময় গেলে ৩০ টাকা করে টিকিট নেয়। আর আপনি যদি ঈদের সময় যান বা মেলা সময় যান তাহলে আপনার টিকিট ৫০ টাকা করে নেবে।
ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় আমরা প্রায় সকলের চিনি। কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। এই বিশ্ববিদ্যালয় টি কুষ্টিয়া জেলা ঝিনাইদহ তে দুলালপুরে অবস্থিত। কুষ্টিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটি সৌন্দর্য সম্পর্কে কি আর প্রকাশ করব। ভার্সিটি মানে এমনি সৌন্দর্য। ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হয় ২২ শে নভেম্বর ১৯৭৯ সালে এটি স্থাপন হয়। ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ভিতর অনেক বড় একটি মাঠ রয়েছে তার চারপাশে রয়েছে ফুলের বাগান এবং গাছপালা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছেলেরা আড্ডা দেয়।
ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় দুইটি বিভাগ রয়েছে অর্থনীতি বিভাগ এবং আইন বিভাগ। ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অনেক উন্নতি। আপনি যদি ভ্রমণের জন্য কুষ্টিয়া শহরে যে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ঘুরে আসবেন। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ঘুরে আসবে আপনার অনেক শান্তি লাগবে। এই আর্টিকেলে সম্পন্ন ভাবে আলোচনা করা হলো কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত ৫টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।
আপনি যদি কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় না দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরে আসুন।ঝিনাইদহ হতে অবস্থিত কুষ্টিয়া থেকে ৪০ থেকে ৫০ টাকা আপনার গাড়ি ভাড়া লাগবে। আর ঝিনাইদহ থেকে যেতে আপনার ২০ থেকে ৩০ টাকা গাড়ি ভাড়া লাগবে। অবশ্যই কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনি অবশ্যই ঘুরে আসবেন।
লেখকের মন্তব্য-কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি
প্রিয় পাঠক আমরা এত সময় আলোচনা করলাম কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত ৫টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। আশা করি আপনি কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ৫টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। কুষ্টিয়া জেলাতে এই দর্শনীয় স্থান ৫টি ছাড়াও আরো অনেক স্থান রয়েছে যেখানে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন।
কুষ্টিয়া শহরের অনেক ধরনের পার্ক রয়েছে সমস্ত পার্ক থেকে আপনি ঘুরে আগে অবশ্যই আপনার কুষ্টিয়া জেলা অনেক ভালো লাগবে। তাই অবশ্যই আপনি কুষ্টিয়া জেলা থেকে ঘুরে আসিবেন। পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম পোস্ট আরো পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।" ধন্যবাদ"
সাব্বির গাইড বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url