পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করে নিন খুব সহজে
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক সম্পর্কে আপনি কি জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন। বর্তমানে আমাদের দেশে জাল ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতারণা এড়াতে অবশ্যই আমাদেরকে ভিসা চেক করে নেয়া উচিত।
আপনি যদি মালয়েশিয়ার ভিসার হাতে পেয়ে থাকেন তাহলে প্রথমেই আপনার উচিত থেকে আপনার ভিসা সঠিক কিনা ভুল তার চেক চেক করে নিবেন। কারণ, আপনি যদি সঠিকভাবে ভিসা চেক না করেন তাহলে আপনি প্রতারিত হবেন এবং বিভিন্ন ধরনের বিপদে পড়তে পারেন। তাই আজকের এই পোস্টটি থেকে বিভিন্ন উপায়ে কিভাবে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃপাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক
- মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম
- মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক
- মালয়েশিয়া ভিসা চেক
- মালয়েশিয়ার ভিসা রয়েছে কি না
- মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং
- টুরিস্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
- অতি সহজেই ৬ টি দেশের ভিসা চেক করুন
- ভিসা কত প্রকার ও কি কি
- লেখকের শেষ মন্তব্য
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই। প্রতিটি দেশ থেকে প্রতি বছরের হাজার হাজার মানুষ মালয়েশিয়া যেয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের কাজে মালয়েশিয়া যে থাকেন। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশেও অনেক প্রবাসী রয়েছে মালয়েশিয়াতে। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে দেখতে হবে আপনার ভিসাটি সঠিক আছে কিনা।
যদি আপনার ভিসা সঠিকভাবে এবং সঠিক তথ্য না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি মালয়েশিয়াতে যেয়ে বিভিন্ন ধরনের বিপদের মধ্যে পড়বেন। এবং সেখানে যে আপনি কাজও পাবেন না এবং আপনার শেষ পর্যন্ত যে আপনি জেলে থাকতে হতে পারে। তাই অবশ্যই যারা মালয়েশিয়াতে যাচ্ছেন তাদের সকলেরই উচিত মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করা।
ভিসা চেক করার মাধ্যমে আপনি সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন এবং আপনি দেখতে পারবেন আপনার ভিসাকে ঠিকঠাকভাবে আছে কিনা। পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম
মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ আপনি যদি পোস্টটি পড়েন তাহলে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন। আপনি অনেক উপায়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষের মালয়েশিয়া যাচ্ছে। অনেকেই ভালোভাবে চলে যাচ্ছে আবার অনেকেই দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাচ্ছে।
দালালের মধ্যে অনেক দালাল রয়েছে যারা নকল ভিসা দিয়ে মানুষকে বোকা বানায়। আপনি যদি নতুন ভিসা দিয়ে মালয়েশিয়া যান তাহলে আপনি বিপদের মধ্যে পড়তে হবে। তাই মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনি আপনার ভিসা সঠিক কিনা তা চেক করে নিবেন। তাহলে আসুন জেনে নিন কোন কোন উপায়ে আমরা মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করতে পারবো।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
প্রথমে আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার জন্য Eservise Imi Gov My এই লিংকে প্রবেশ করতে হইবো। এরপরে আপনার জাতীয়তা বাংলাদেশী সিলেট করতে হবে।সর্বশেষে আপনি Carian লেখাই ক্লিক করলে আপনি মালয়েশিয়ার ভিসা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। পাসপোর্ট নম্বর এবং জাতীয়তা দেওয়ার পরে আপনি যখন সার্চ করবেন তখন যদি আপনার নাম এবং আপনার জন্ম তারিখ দেখতে পান তাহলে আপনি বুঝবেন আপনার ভিসা বৈধ।
মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক
আমরা অনেকেই মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ই ভিসার আবেদন করে থাকি। যারা মালয়েশিয়া ই ভিসার জন্য আবেদন করেছেন অনলাইনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ই ভিসা চেক করতে পারবেন। আপনি যদি ও ভিসা চেক না করে মালয়েশিয়াতে চলে যান। এরপর যে যদি দেখেন আপনার ভিসাটি বৈধ নয়। তাহলে আপনার জন্য মালয়েশিয়াতে আসতে পারে নানান ধরনের বিপদ।
তাই আমরা ই ভিসাতে মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে অনলাইনের মাধ্যমে আমরা আমাদের মালয়েশিয়ার ই ভিসাটি চেক করে নেব। তাহলে আসুন জেনে নেই কিভাবে মালয়েশিয়ার ই ভিসা চেক করতে হয়। প্রথমে আপনি Malaysia c-visa status এই লিংকে ভিজিট করবেন।এরপর আপনার পাসপোর্ট নম্বরটি দিবেন।অনলাইনে ভিসা আবেদনের কপি থেকে পাওয়া Sticker Number দিবেন।
এরপরে ইমেজের লেখাগুলো দিবেন।সর্বশেষে যা করবেন Check বাটনে ক্লিক করলে মালয়েশিয়ার ই ভিসার সম্পর্কের সমস্ত তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন। এইসব নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি মালয়েশিয়ার ই ভিসা চেক করেন। তাহলে আপনি মালয়েশিয়ার ই ভিসা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। আশা করি আপনি মালয়েশিয়ার এ ভিসা কিভাবে চেক করতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেকমালয়েশিয়ার কলিং ভিসার সাধারণত গ্রুপ আকারে হয়ে থাকে। একটি গ্রুপে থাকা সমস্ত শ্রমিকের ভিসা চেক করার জন্য শুধুমাত্র এপ্লিকেশন নম্বর কিংবা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়েও মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করা যায়। যারা যারা মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করবেন তারা কলিং পেপারের উপরে এপ্লিকেশন নম্বর থাকে।
এবং সেখানে কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকে। সেইটি দিয়ে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করতে পারবেন। মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করার জন্য প্রথমের Eservise imi gov my myimme prastatus এই লিংকে ভিজিট করুন। এরপরে কলিং পেপারে থাকা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে সার্চ করুন। এই কোম্পানিতে যতগুলো শ্রমিক আবেদন করেছেন তাদের সকলের পাসপোর্টের তালিকা থেকে আপনি আপনার ভিসা খুজে চেক করুন।
এছাড়াও আপনি আপনার মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা আরো ৩ টি উপায়ের চেক করতে পারবেন
- কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে
- পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে
এপ্লিকেশন নাম্বার দিয়েএই তিনটি উপায়ে আপনি আপনার মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করতে পারবেন। মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে আপনি কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে সার্চ করবেন। এরপর আপনি আপনার পাসপোর্ট খুজে বের করে নিবেন। এরপরে আপনি পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে কলিং ভিসার চেক করতে পারেন। এই আর্টিকেলটিতে আপনি সম্পূর্ণভাবে জানতে পারবেন কিভাবে আপনি খুব সহজেই পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা চেক
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য অনেকেই ভিসার আবেদন করে থাকি। কিন্তু ভিসা কবে পাবো এটা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। আপনি চাইলে মালয়েশিয়ার ভিসা যাচাই করার জন্য eservices.imi.gov.my এই লিংকে প্রবেশ করে আপনি তা জানতে পারবেন। এই লিংক থেকে আপনি খুব সহজেই মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করতে পারবেন।
মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার জন্য আমাদের কিছু তথ্য প্রয়োজন হবে।
- ভিসার এপ্লিকেশন নম্বর
- কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নম্বর
এই দুইটি তথ্য দিয়ে আপনি মালয়েশিয়ার ভিসা রয়েছে কিনা তা চেক করতে পারবেন খুব সহজেই। তা ছাড়াও আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করতে পারবেন। আপনি যদি মালাইশিয়া যান তাহলে মালয়েশিয়া যাওয়ার আগের অবশ্যই আপনি আপনার ভিসা চেক করে যাবেন। ভিসা চেক করে গেলে আপনি মালয়েশিয়াতে বৈধ ভাবে থাকতে পারবেন।
তাই আপনি মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ভিসা চেক করে যাবেন।মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা কিমালয়েশিয়ার কাজ করার জন্য যারা যায় তাদেরকে যাওয়ার সময় আলাদা এক ধরনের ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। এই ভিসাটির নাম হচ্ছে মালাইশিয়ার কলিং ভিসা।
এই ভিসাতে যে কোম্পানিতে কাজ করার জন্য যাওয়া হয়, সেই কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নম্বর অথবা আইডি নম্বর সহ আরো কিছু তথ্য দেওয়া থাকে। এইসব তথ্য দিয়ে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ভি-সাটে বৈধ নাকি অবৈধ। অবশ্যই আপনি কলিং ভিসায় যাওয়ার আগে ভিসা চেক করে যাবেন।
মালয়েশিয়ার ভিসা রয়েছে কি না
বাংলাদেশের অনেক মানুষই মালয়েশিয়া যায়। আমরা যখন মালয়েশিয়া তে যাব তখন আমরা মালয়েশিয়ার ভিসা আছে কিনা তা চেক করব। এতে করে আমাদের অনেকটা উপকারী হবে। তাই আমরা যখন মালয়েশিয়া তে যাব অবশ্যই মালয়েশিয়ার ভিসা সম্পর্কে জেনে যাব। কখন মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়া যাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
- প্রথমে আপনি eservices.imi.gov.my/myimma/fo,e,astatus এই লিংকে ভিজিট করুন।
- তারপর প্রথমের যে বক্সে থাকবে সেই বক্সে আপনার পাসপোর্ট নম্বর ইংলিশে লিখুন।
- এরপর যে ফাঁকা বক্সে থাকবে ওই বক্সে আপনি কোন দেশের নাগরিক সেই দেশের নাম নির্বাচন করুন
- এরপরে ডানদিকে Carian বাটনে ক্লিক করলে মালয়েশিয়ার ভিসা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।
এই সমস্ত পদ্ধতি আপনি যদি অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই মালয়েশিয়ার ভিসা আছে কিনা তা চেক করতে পারবেন। অবশ্যই আপনি এইসব তথ্য অনুযায়ী মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করে নিতে পারবেন খুবই সহজে। আশা করি মালয়েশিয়ার ভিসা আছে কিনা তা চেক করতে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং
অনেকেই মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যে থাকি। অনেকেই কাজের জন্য মালয়েশিয়া যে থাকি। আবার অনেকেই মালয়েশিয়াতে টুরিস্ট ভিসায় ঘুরাঘুরি করতে যায়। বাংলাদেশীদের জন্য মালয়েশিয়া জনপ্রিয় একটি ভ্রমণ গন্তব্য। ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের ভিসা আরো সহজ করে দিয়েছে। আসুন তাহলে জেনে নিন মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন সমস্ত তথ্য জেনে নিন।
- বাংলাদেশের পাসপোর্ট এখন খুবই সহজ। খুব অল্প সময়েই পেয়ে যেতে পারেন মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা। এই টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে টাকা জমা দিতে হবে।
- ভিসার জন্য যখন আবেদন করবেন আবেদনের সময় কাগজপত্র যদি ভুল থাকে তাহলে ভিসা পাবার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। আবার এটাও হতে পারে আপনি ভিসা নাও পেতে পারেন। তাই আবেদনের সময় কাগজপত্র সঠিক ইনফরমেশন দিবেন।
- আপনি যদি মালয়েশিয়া হয়ে অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করতে চান তাহলে ট্রানজিট ভিসা না থাকলেও হবে। টুরিস্ট ভিসা দিয়েই আপনি যেকোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
- আপনার কাছে যদি মালাইশিয়ার ই ভিসা থাকে তাহলে আপনি যেকোনো বিমানবন্দর দিয়ে মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে ই ভিসা থাকলে আপনাকে প্রথমেই কুয়ালামপুরেই যেতে হবে। আর যদি টুরিস্ট ভিসা থাকে তাহলে আপনি একবারেই মালয়েশিয়াতে চলে যেতে পারবেন।
- আপনি যদি ই ভিসাতে মালয়েশিয়াতে ভ্রমন করতে যান তাহলে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর নানান ধরনের বিপদের মুখোমুখি করতে হয়। কারণ টুরিস্ট ভিসাতে যেয়ে অনেক মানুষে আর ফিরে আসে না। এর কারণে ই ভিসাতে একটু সমস্যা দেখা দেয়। এবং কি আপনাকে বিমানবন্দর থেকেও ফিরিয়ে দিতে পারে।
- আপনি টুরিস্ট ভিসা পাবেন ই ভিসা দিয়েও মালয়েশিয়া ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে আমার মতে টুরিস্ট ভিসা দিয়েই ভ্রমণ করার সবথেকে উত্তম। আপনারা যারা ভ্রমণ করবেন তারা চেষ্টা করবেন টুরিস্ট ভিসা দিয়ে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করা।
টুরিস্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য যেভাবে আবেদন করবেন www.imi.gov.my এই সাইটটি আপনি ডাউনলোড করে নিয়ে যথাযথভাবে ফর্মটি পূরণ করে এজেন্ট এর কাছে জমা দিবেন। তবে এটা মনে রাখবেন ভিসা আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু গ্রহণ করা হয় না। কিছু কিছু অনুমতির মেনে এজেন্টের মাধ্যমে হিসাব আবেদন পত্রটি জমা দিতে হয়।
- টুরিস্ট ভিসা করার জন্য যা যা লাগবে
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, ছবিগুলো অবশ্যই প্রিন্ট হতে হবে।
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি ও মুলকপি জমা দেওয়া লাগবে।
- বিমানের টিকিটের ফটোকপি লাগবে।
- পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৬ মাস হতে হবে এবং পাসপোর্ট এর ৩ টি ধারাবাহিক খালি পৃষ্ঠার থাকতে হবে
- ভ্রমণের কারণ উল্লেখিত আবেদনপত্র ছাড়তে হবে।
- বাংলাদেশের বসবাস করেছেন অথবা বাংলাদেশে থাকার অনুমতিপত্র থাকতে হবে।
- আপনি যদি কারোর আমন্ত্রণে মালয়েশিয়ার যান তাহলে আমন্ত্রণপত্র লাগবে।
- বাংলাদেশের বাইরের ভ্রমণে গেলে বাইরের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড লাগবে।
অতি সহজেই ৬ টি দেশের ভিসা চেক করুন
প্রতি নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ সঠিক ভিসা চলে যাচ্ছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। আবার বিভিন্ন দেশে যেতে গিয়ে মানুষ চলে যাচ্ছে বিপদের মধ্যে। অনেক মানুষ ভিসা চেক না করে অবৈধ ভাবে চলে যাচ্ছে। তাই তাদের বিমানবন্দর যে দেশের আবার ফিরে আসা লাগছে।
এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসা চেক করে নিতে পারবেন অনলাইন এর মাধ্যমে। ভিসা চেক করে না গেলে বিমানবন্দর যে অনেক মানুষই বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে। তাই অবশ্যই অন্য দেশে যাওয়ার আগে আপনার ভিসা টি চেক করে নেওয়া উচিত। তাহলে জেনে নিন ৬ টি দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম।
কানাডা
কানাডা সরকারের অভিবাসন ও নাগরিক সেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। কানাডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.cic.gc.ca এই লিংকে প্রবেশ করে আপনি কানাডার চাকরি, শিক্ষার ,ভ্রমণ, এবং কানাডার বিস্তারিত সমস্ত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। এই খানে ক্লিক করে আবেদনকারী আবেদনের সমস্ত তথ্য নিশ্চিত হতে পারবে। এছাড়াও তার ভিসা আবেদনের যোগ্যতা আছে কিনা এই সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে যাবে।
আমেরিকা
লটারির মাধ্যমে বা ডাইভারসিটি ভিসা নির্দেশনা, পড়াশোনা , কাজ বা ভ্রমণ ভিসার সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে এবং আবেদনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া আছে। আরো জানা যাবে আমেরিকার http.//trgve.state.gov ওয়েব সাইটে। এই ওয়েবসাইটে আমেরিকার সমস্ত ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমেরিকাতে আপনি যে ভিসাতে যান না কেন সমস্ত ভিসা এই ওয়েবসাইটে আপনি চেক করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া অন্যান্য দেশের থেকে অনেক শান্তশিষ্ট একটি দেশ। এ দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা মুক্ত ও বহুজাতিক একটি দেশ। মালয়েশিয়াতে ভ্রমণসহ অভিবাসন এবং চাকরি সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়াতে আবেদন করতে হলে কি কি ধরনের কাগজপত্র লাগবে এবং ভিসা আবেদনের সমস্ত তথ্য ও নিয়ম কানুন রয়েছে মালয়েশিয়ার ওয়েবসাইটে www.imi.gov.my এই ওয়েবসাইটে ঢুকলে আপনি মালয়েশিয়ার সমস্ত ইনফরমেশন ও প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। এবং কে আবেদনের পর ভিসার প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে আছে আপনি তাও জেনে নিতে পারবেন।
ওমান
ওমানের রাষ্ট্রীয় পুলিশ প্রশাসনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ওমানের প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন ও সমস্ত ভিসার তথ্য পাওয়া যায়। অনলাইনে ভিসা আবেদন ও বিভিন্ন প্রয়োজনের তথ্য জানার জন্য ওমানের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন www.rop.gov.om এই লিংকে প্রবেশ করবে আপনি ওমানের সমস্ত প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন এবং ভিসার সমস্ত ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন
সৌদি আরব
সৌদি আরব ভ্রমণকারীদের সমস্ত ভিসা তথ্য ও আবেদন প্রক্রিয়া যাচাইয়ের সকল সুবিধা রয়েছে সৌদি আরবের ওয়েবসাইটে। এদেশের বেশিরভাগ মানুষের যাই হজ করতে কিংবা ভ্রমন করতে। সৌদি আরবের হিসাব তথ্য ও আবেদনের জন্য সৌদি আরবের সরকার তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট http://www.mol.gov.ge এই ওয়েব সাইট ক্লিক করলে সৌদি আরবের দরকারই তথ্য জেনে নিতে পারবেন। ভিসার বৈধ কিনা তা যাচাই করতে পারবেন। আবেদন সর্বশেষ তথ্য যাচাই করার সুযোগও পাবেন এই ওয়েব সাইটে।
কাতার
বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষই কাতার যে থাকে। এর মধ্যেও আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের কাতার যায়। কেউ কাজের জন্য যায়, আবার কেউ ভ্রমণ করতেও যায়। এজন্য কাতারের সরকার তাদের নির্দিষ্ট ওয়েব সাইট তৈরি করে রেখেছেন। www.moi.gov.qa/sitr/english/eservise এটি হলো কাতারের মেন অফিসিয়াল ওয়েব সাইট। এই ওয়েব সাইট থেকে আপনি আপনার ভিসার সমস্ত ইনফরমেশন ও প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভিসা কত প্রকার ও কি কি
আমরা বাহিরের দেশে বিভিন্ন ভিসায় যেয়ে থাকি। কেউ যায় কাজের জন্য আবার কেউ যায় ভ্রমণ করার জন্য কিংবা অনেকেই বাহিরের দেশের ডাক্তার দেখাতে যাই। সবাই সব রকমের ভিসায় যায় না। যে কাজের জন্য যাবে তার অন্য ভিসা থাকবে। আর যে ভ্রমণ করতে যাবে বা ডাক্তারের কাছে যাবে তাদের থাকবে অন্য ভিসা। আসুন তাহলে জেনে নিন ভিসা ৫ প্রকার সেইগুলো হল-
- এমপ্লয়মেন্ট ভিসা
- প্রজেক্ট ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- টুরিস্ট ভিস
- মেডিকেল ভিসা
এই পাঁচ রকমের ভিসার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে ঘোরাঘুরের জন্য টুরিস্ট ভিসায় সবথেকে ভালো। আর আপনি যদি কাজের জন্য যেয়ে থাকেন তাহলে বিজনেস ভিসা কিংবা এমপ্রয়মেন্ট ভিসা ভালো হবে। আর আপনি যদি ডাক্তারের কাছে যেয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য মেডিকেল ভিসা সবথেকে ভালো হবে এবং কি কম দামেও এই ভিসাটি পেতে পারেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
পাসপোর্ট নম্বর দে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করবেন কিভাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমরা যখন বাইরে কোন রাষ্ট্রে যাইবো ভিসা পাওয়ার পরে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ভিসাটি চেক করে নেব। এতে করে আমাদের অনেক উপকারে আসবে। আজকের এই আর্টিকেলটি পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক, এবং কি বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করবেন কিভাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি আপনি কিভাবে ভিসা চেক করবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। বিভিন্ন সময়ে আমরা দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুর বা সৌদি আরবের ওমান বা বিভিন্ন দেশের যে থাকে। তবে সব দালাল কিন্তু সঠিক ভিসা দেয় না অনেক দালাল রয়েছে ভুলভাল ভিসা দিয়ে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট থেকে আপনাকে বের করে দিবে।
কিন্তু আপনি যখন পরবর্তী বিমানবন্দরের নামবেন ওইখানে আপনার ভিসা তে সমস্যা দেখা দিবে। এতে করে আপনার জেল হতে পারে, কিংবা দেশের পাঠিয়ে দিতে পারে। তাই আপনি যেভাবে ভিসা হাতে পেয়ে থাকেন না কেন অবশ্যই ভিসাটি হাতে পাওয়ার পরে আপনে চেক করে নিবেন। আর্টিকেল যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার যে বন্ধু মালয়েশিয়া যেতে চাই তার সঙ্গে শেয়ার করে দিন। এবং এই সম্পর্কের যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এত সময় সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সাব্বির গাইড বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url