ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায় সম্পূর্ণভাবে জেনে নিন
ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যােতি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ছোট বাচ্চাদের জ্যোতি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক।
ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভাবে আপনি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরে যাবেন ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি কিভাবে বাড়াতে হয়। অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি কমে যায়। এটি বাড়ানোর উপায় চলুন জেনে নেই।
পোস্ট সূচিপএঃ ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায়
- ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায়
- প্রতিদিন ডিম খেয়ে বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায়
- ফ্যাট ফি খাওয়ান চোখ সুস্থ থাকবে
- চকোলেট এবং বাদামের সমন্বয়
- নিয়মিত ভাবে সবজি এবং পাতা খাওয়ান
- নিয়মিত ভাবে ছোট বাচ্চাদেরকে ফল খাওয়ান
- মাছ খাওয়ান বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ান
- দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাবার খাওয়ান
- ছোট বাচ্চাদের কেন দৃষ্টিশক্তি কমে যায়
- এই সকল কাজ থেকে বাঁচার উপায়
- লেখকের মন্তব্যঃ ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায়
ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায়
ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে চলুন এখন আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। আজকাল অল্প বয়সেই দৃষ্টির নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি আপনি যদি একটি স্কুল কিন্ডারগার্টেনে তাকান, আপনি দেখতে পাবেন বেশ কিছু শিশু মোটা চশমা পড়ে বই পড়ছে। তাহলে বুঝবেন পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে, শিশুর চোখের দিকে মনোযোগ দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে ধীরে ধীরে তার দৃষ্টিশক্তি বাড়বে।
আরো পড়ুনঃ চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর উপায়
বিশেষ করে, নেতিবাচক হার বয়সের সাথে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই ক্ষমতার জন্য ধন্যবাদ, শিশুরা দূরবর্তী বস্তু দেখতে পারে না। বোর্ডের দিকে তাকিয়েও কিছু বুঝতে পারছি না। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের দৃষ্টিশক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়। অতএব, আপনার খাদ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। একই সময়ে, আপনার পায়ে কিছু খাবার রাখা উচিত যা আপনার দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে পারে। আসুন এই সমস্ত "স্বাস্থ্যকর" খাবারগুলি দেখে নেওয়া যাক।
প্রতিদিন ডিম খেয়ে বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায়
প্রতিদিন ডিম খেয়ে বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। আপনি কি জানেন ছোট বাচ্চাদের প্রতিদিন যদি আপনি ডিম খাওয়ান তাহলে আপনার বাচ্চার চোখের জ্যোতি খুব দ্রুত ভাবে বেড়ে যাবে। কারণ ডিমের মধ্যে যে সকল পুষ্টিগুণ রয়েছে সে সকল পুষ্টিগুণ আপনি অন্য কোন খাবারে কখনোই পাবেন না। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এই ভিটামিন শিশুদের চোখের জন্য খুবই উপকারী। ডিমের কুসুমেও লুটেইন নামক পদার্থ থাকে।
তবে এই পদার্থটি চোখের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে। এক্ষেত্রে সিদ্ধ ডিম দিলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। যাইহোক, আপনার শিশু যদি শক্ত-সিদ্ধ ডিম খেতে না চায়, তাহলে আপনি তাকে অমলেট বা শক্ত-সিদ্ধ ডিম দিতে পারেন। এতে বাড়ির তরুণ সদস্যদের দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়। তাই নিয়মিত ভাবে ছোট বাচ্চাদেরকে ডিম খাওয়ানোর অভ্যাস করে নিন। এতে করে চোখের দৃষ্টি শক্তি অনেকটা বৃদ্ধি পাবে।
ফ্যাট ফি খাওয়ান চোখ সুস্থ থাকবে
ফ্যাট ফি ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়মিত ভাবে খাওয়াবে তাদের চোখ সুস্থ থাকবে। ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়মিত ভাবে ফ্যাট ফ্রি খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে তৈলাক্ত মাছ মানেই বিদেশি সামুদ্রিক মাছ। এই ধরনের মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এই ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি আপনার চোখের উজ্জ্বলতাও উন্নত করতে পারে। এই চর্বি শিশুদের ঘাটতির ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই তাদের নিয়মিত টুনা, স্যামন এবং সার্ডিন জাতীয় মাছ খাওয়ান। এছাড়াও স্থানীয় ছোট মাছ খাওয়াতে ভুলবেন না। এই মাছ খেলে দৃষ্টিশক্তিও ভালো হয়। তাই নিয়মিত ভাবেই ফ্যাট ফি খাওয়ানোর অভ্যাস করে নিন ছোট বাচ্চাদেরকে।
চকোলেট এবং বাদামের সমন্বয়
চকোলেট এবং বাদামের সমন্বয় সম্পর্কের চলন আমার এখন জেনে নেই। চকলেট এবং বাদাম ছোট বাচ্চারা খেতে অনেকটাই পছন্দ করে এবং এটি খেতেও অনেক সুস্বাদ হয়। চকোলেট ছোট বাচ্চাদের ধরতে গেলে প্রিয় খাবার। এক্ষেত্রে ডার্ক চকলেটের সঙ্গে কিছু বাদাম মিশিয়ে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এইভাবে, ভিটামিন ই, ওমেগা -3 এবং অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তার শরীরে প্রবেশ করে। আর এই সব উপাদান সরাসরি শিশুর চোখের উজ্জ্বলতা বাড়ায় বলে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অতএব, অবিলম্বে আপনার শিশুকে এই সংমিশ্রণ খাবার খাওয়ানো শুরু করুন। আমি ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়মিত ভাবেই চকোরেট এবং বাদাম খাওয়ানো শুরু করে দিন।
নিয়মিত ভাবে সবজি এবং পাতা খাওয়ান
নিয়মিত ভাবে সবজি এবং পাতা খাওয়ানোর উপকারিতা সম্পর্কে চলুন আমরা জেনে নেই। ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়মিতভাবেই শাকসবজি এবং পাতা খাওয়ানোর অভ্যাস করে নিবেন। সবজি এবং ফল চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে অনেক উপকারী। এবং তারা সারা জীবন এই অভ্যাস গঠনের সুফল ভোগ করবে। যাইহোক, বিভিন্ন রঙের শাকসবজি এবং শাকসবজিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে সহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে।
উপরন্তু, এই সবজি এবং শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং বিভিন্ন উপকারী খনিজগুলির চমৎকার উৎস। এবং এই সমস্ত পদার্থ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে পারে। অতএব, শিশুর প্রতিদিন পাতা এবং শাকসবজির একটি অংশ খাওয়া উচিত। ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়মিত ভাবেই শাকসবজি এবং পাতা খাওয়ানো শুরু করে দিন। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে জানতে পারবেন ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত ভাবে আরও জেনে নেই।
নিয়মিত ভাবে ছোট বাচ্চাদেরকে ফল খাওয়ান
নিয়মিত ভাবে ছোট বাচ্চাদেরকে ফল খাওয়ান এই সম্পর্কের চলুন আমরা এখন জেনে নেই। আপনার ছোট্ট বাচ্চার চোখের যত্ন নিতে গেলে নিয়মিত ভাবে আপনার বাচ্চাকে ফল খাওয়াতেই হবে। যেকোনো মৌসুমি ফল ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এভাবে ফল খেলে চোখের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। চোখের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন আপনার শিশুকে এক টুকরো ফল দিন।
মাছ খাওয়ান বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ান
আপনি কি জানেন নিয়মিত ভাবে মাছ খাওয়ানোর মাধ্যমে আপনার বাচ্চার চোখের জ্যোতি অনেক বৃদ্ধি পাবে। অনেক শিশুই আছে তারা মাছ খেতে চায় না। কিন্তু ছোট বাচ্চাদের জন্য মাছ অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। তাই তাদের মাছ খাওয়ানোর জন্য প্রতিদিন বলতে হবে বা আগ্রহ করতে হবে। কারণ নিয়মিত মাছ খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা আপনার চোখের জন্য ভালো। তাই শিশুদের নিয়মিত মাছ খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে এই এলাকায় সব ধরনের ছোট মাছ, লোনা পানির মাছের উপযোগী। তাই ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়মিত ভাবেই মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস করে দিতে হবে আপনাকে। ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আপনি এখন জানছেন বিস্তারিত জানতে নিচে আরো পড়ুন।
দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাবার খাওয়ান
দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাবার খাওয়ান এ সম্পর্কে চলুন আমরা এখন জেনে নেই। ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়মিত ভাবেই দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করে নিবেন। কারণ দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। যা ছোট বাচ্চাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর জন্য অনেক উপকারে। এমনকি ছোট বাচ্চাদের চোখের যে সমস্ত সমস্যা থাকবে সমস্ত সমস্যা দূর করে দিতে পারবে। তাই আপনার সন্তানকে প্রতিনিয়ত ভাবেই এক গ্লাস করে দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করবেন।
অন্যদিকে অনেকের বাচ্চার অ্যালার্জি সমস্যা থাকতে পারে তাই তাদেরকে দুধ খাওয়ানো তো যাবে না। এই সময়ে তাদেরকে দই বা ছানা খাওয়াতে পারেন। এতে করে ছোট বাচ্চাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বেড়ে যাবে। দই এবং ছানা খেলে ছোট বাচ্চাদের কোন ধরনের সমস্যা হবে না এবং কি পুষ্টি পাবে সঠিক পরিমানে। তাই নিয়মিত ভাবে ছোট বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। আর যে সকল বাচ্চাদের এলার্জি রয়েছে তাদেরকে দই এবং ছানা খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
আমরা এত সময় আলোচনা করলাম ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে। আশা করি আপনি জানতে পেরে গেছেন ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে। এ সকল খাদ্য করে উপাদান গুলো ছোট বাচ্চাদেরকে যদি আপনি নিয়মিত ভাবে খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার বাচ্চার চোখের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং চোখের জ্যোতি খুব দ্রুত ভাবে বৃদ্ধি পাবে। এখন আমরা জেনে নেই ছোট বাচ্চাদের কেন দৃষ্টি শক্তি কমে যায়।
ছোট বাচ্চাদের কেন দৃষ্টিশক্তি কমে যায়
ছোট বাচ্চাদের কেন দৃষ্টিশক্তি কমে যায় এ সম্পর্কে চলুন আমরা এখন জেনে নেব। মানব জীবনে সব থেকে বড় সম্পদ হলো চোখ চোখ না থাকলে আমরা কিছুই দেখতে পেতাম না। একটি শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য দৃষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশও সমস্যার সম্মুখীন হয়। অতএব, শিশুদের সাধারণ চোখের যত্নে মনোযোগ দেওয়া উচিত। চলুন এখন আমরা জেনে নেই ছোট বাচ্চাদের কেন দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
- জন্মগত চোখের ত্রুটি নিয়ে জন্মানো।
- যদি আপনার অকাল জন্ম হয়। বিশেষ করে, যেসব শিশুর জন্মের পর দীর্ঘ সময়ের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় তাদের রেটিনার জটিল সমস্যা হতে পারে। এটি অনেক শিশুর অন্ধত্বের প্রধান কারণ।
- ছোট বাচ্চাদের যেকোনো বড় ধরনের আঘাত লাগবে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
- শিশুদের যদি প্রচুর পরিমাণে চোখে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস হয় তাহলে তাদের দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে।
- ভিটামিন এ এর ঘাটতির কারণে শিশুদের চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে। কারণ ভিটামিন এ শুষ্ক চোখ প্রতিরোধ করে, চোখের সার্বিক স্বাস্থ্য এবং চোখের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।
- টিভি, কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে অনেকটা সময় কাটালে। এটা চোখের জন্য ক্ষতিকর। যখন আপনার চোখ শুকিয়ে যায়, তারা বিরক্ত হয়। অনেক শিশু দূরদৃষ্টিতে ভোগে, এমন একটি অবস্থা যা দূরের বস্তুগুলিকে দেখা কঠিন করে তোলে।
আমরা এত সময় জানলাম ছোট বাচ্চাদের কেন দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। আশা করি আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। এ সকল জিনিস থেকে ছোট বাচ্চাদেরকে সাবধান রাখতে হবে যাতে করে ছোট বাচ্চাদের দৃষ্টি শক্তি না কমে যেতে পারে। কারণ চোখের দৃষ্টিশক্তি না থাকলে ছোট বাচ্চারা কোন কিছুই ভালোভাবে দেখতে পারবো না। ছোট থেকে যদি সে চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলে তাহলে সে বড় হতে হতে একদম অন্ধ হয়ে যাবে। তাই এই সকল জিনিস থেকে ছোট বাচ্চাদেরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
এই সকল কাজ থেকে বাঁচার উপায়
এ সকল কাছ থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে জানবো। ছোট বাচ্চাদেরকে কিভাবে আমরা চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখবো সে সম্পর্কে চলুন এখন আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। যে সকল করণীয় আপনাকে করতে হবে তা নিচে বিস্তারিত ভাবে জানানো হলো।
- জন্মের পরপরই শিশুর চোখের সমস্যার জন্য পরীক্ষা করাতে হবে। কম জন্মের ওজন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা মায়েদের সংক্রমণের ইতিহাস সহ শিশুদের জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
- যেসব শিশু সময়ের আগে বা কম ওজন নিয়ে জন্মায় এবং শ্বাসকষ্ট বা রক্তে অক্সিজেনের অভাব পূরণের জন্য জন্মের পর দীর্ঘ সময় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় তাদের জীবনের প্রথম মাসে পরীক্ষা করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
- জন্মের পরপরই শিশুকে দুধ দিতে হবে। দুই বছর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ দিতে হবে। কারণ শালদুহ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য উপকারী। এছাড়া মায়ের দুধে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ অনেক বেশি।
- ৬ মাস থেকে রান্না করা, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন সবুজ ও হলুদ শাকসবজি, গাজর, পালং শাক, কুমড়া, ছোট মাছ ও ডিম একটু বাড়তি তেল দিয়ে খাওয়ান। আপনি কখনই তাকে দুধ বা টিনজাত খাবার দেবেন না।
- কোনো শিশুর চোখের সংক্রমণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিয়ে অবিলম্বে চিকিৎসা করা উচিত। কোনো অবস্থাতেই দোকানে ওষুধ কিনে নিজে ব্যবহার করা উচিত নয়।
- যদি আপনার সন্তান পড়াশোনায় ভালো না করে, অমনোযোগী হয়, বা মাথাব্যথা থাকে, তাহলে আপনার দৃষ্টি পরীক্ষা করা উচিত।
- শিশুদেরকে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি ৬ মাস অন্তর ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে হবে।
- দীর্ঘ সময় ধরে টিভি, কম্পিউটার বা সেল ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকানো থেকে বিরত থাকুন।
- ছোট বাচ্চাদের চোখে সুরমা বা কাজল লাগানো ঠিক নয়।
- দিনের নির্দিষ্ট সময়ে বাচ্চাদের ভাল আলোকিত জায়গায় বাইরে খেলতে দেওয়া উচিত। কারণ সূর্যের আলোর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার ক্ষমতা রয়েছে। উপরন্তু, ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন এবং চোখের অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে।
- ছোট বাচ্চারা যখন রোদে বের হবে তখন তাদেরকে সানগ্লাস পড়াবেন।
- শিশুরা যেই ঘরে পড়তে বসে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো রাখবেন। যাতে করে তার চোখের উপরে কোন প্রভাব না পড়ে।
আমরা এত সময় জানালাম ছোট বাচ্চাদেরকে কিভাবে চোখের দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখবেন সে সম্পর্কে। ছোট বাচ্চাদেরকে অবশ্যই এই সকল নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করবেন। তাই দেখবেন আপনার শিশুর কোন ধরনের চোখে সমস্যা হবে না এবং চোখের দৃষ্টিশক্তিও কমবে না। এছাড়াও আপনি একজন ভালো চক্ষু ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন। আশা করি বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পারছেন।
লেখকের মন্তব্যঃ ছোট বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায়
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে জানলাম ছোট কিভাবে ছোট বাচ্চাদের চোখের যদি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে এবং আমরা আরো জেনেছি ছোট বাচ্চাদের কেন দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। ছোট বাচ্চাদেরকে দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখার জন্য অবশ্যই তাদের ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং যে সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে তা আমরা উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। এছাড়াও আপনি একজন ভালো চক্ষু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার বাচ্চার যত্ন নিতে পারেন এতে করে আরো আপনার উপকার হবে। আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই গর্ভবতী মা এবং বাচ্চাদের অভিভাবকদের কাছে শেয়ার করুন। এবং এরকম পোস্ট আরো পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।" ধন্যবাদ"
সাব্বির গাইড বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url