দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত ভাবে আমরা এখন জেনে নেই।
আপনি হয়তো দাঁতের মাড়ি ফুলানোর উপায় সম্পর্কে খুঁজছেন? এই আর্টিকেলটি আপনি যদি সম্পূর্ণভাবে পড়তে পারেন তাহলে আপনি জেনে যাবেন দাঁতের মাড়ি কিভাবে ফুলানো থেকে বাঁচাবেন। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ ভাবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপএঃ দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- লবন পানি দিয়ে দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর উপায়
- হলুদ দিয়ে দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর উপায়
- লেবু পানি ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ির ফুলা কমানোর উপায়
- অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ির ফুলা কমানোর উপায়
- সরিষার তেল ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ির ফুলা কমানোর উপায়
- দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কিভাবে
- দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার জন্য পাঁচটি ভিটামিন
- ভিটামিন এ ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়
- ভিটামিন বি খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়
- ভিটামিন সি খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়
- ভিটামিন ডি খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়।
- ভিটামিন কে খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়
- লেখক এর মন্তব্যঃ দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। অনেকেই মাড়ি ফোলা সমস্যায় ভোগেন। এটি একটি সাধারণ সমস্যা, তবে বেশ বেদনাদায়ক এবং বিরক্তিকর। এটি সাধারণত মাড়ি লাল বা গাঢ় গোলাপী দেখায় কারণ। দাঁত ব্রাশ করার সময় ফোলা মাড়ি কেটে রক্তপাত হতে পারে।
জিঞ্জিভাইটিস, সংক্রমণ, খারাপ খাদ্য, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি। মাড়ি ফুলে যাওয়া। এছাড়াও, ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য সেবন, অনুপযুক্ত দাঁত ব্রাশ করা ইত্যাদি। মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যাও হয়। দাঁত ও মাড়ির ব্যথায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই ধরনের সমস্যার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। দাঁতের ব্যথার চেয়ে মাড়ির ব্যথা বেশি।
দাঁতে ব্যথা নেই, তবে মাড়ি ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয় - এই মাড়ির রোগটিকে ডাক্তারি ভাষায় "জিনজিভাইটিস" বলা হয়। এটি একটি ছোঁয়াচে মাড়ির রোগ। যত্নের অভাবে দাঁতে প্লাকের স্তর তৈরি হয়। আপনি যদি বেশিক্ষণ থাকেন তবে সংক্রমণ আপনার মাড়িতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। উপরন্তু, অতিরিক্ত ধূমপান, খারাপ খাদ্য, ডায়াবেটিস, অপর্যাপ্ত দাঁতের যত্ন এবং স্টেরয়েড ব্যবহার এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।। চলুন আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই কি কি উপায়ে আপনি দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানো থেকে বাঁচতে পারবেন।
লবন পানি দিয়ে দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর উপায়
লবণ পানি দিয়ে দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে চলুন আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। ফোলা মাড়ির জন্য লবণ একটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার। এটি মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। দাঁত ব্রাশ করার পর নরম টুথব্রাশ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড লবণ ঘষে নিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে একবার করুন। আধা চা চামচ বা এক চা চামচ লবণ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
আপনার মাড়ির ফোলাভাব কমাতে দিনে দুবার এই জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই উপায়টি ব্যবহার করলে আপনার দাঁতের মাড়ি খুব দ্রুতভাবেই ফুলা কমানো থেকে আপনাকে বাঁচাবে। তাই যাদের দাঁতের মাড়ি ফুলা কমছে না তারা নিয়মিত ভাবেই ব্রাশ করার পরে লবণ পানি দিয়ে দাঁত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার দাঁতের মাড়ি খুব দ্রুত ভাবেই ঠিক হয়ে যাবে এবং দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন।
হলুদ দিয়ে দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর উপায়
হলুদের দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর উপায় সম্পর্কে চলুন আমরা এখন জেনে নেই। আপনি কি জানেন হলুদ ব্যবহার করে আপনি আপনার দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানো থেকে খুব দ্রুতভাবেই রক্ষা পেতে পারে। হলুদ মাড়ির প্রদাহের জন্য একটি ভাল ঘরোয়া প্রতিকারও। এতে রয়েছে কারকিউমিন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা এবং ফোলা উপশম করে।
এক চতুর্থাংশ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো নিন। গুঁড়োতে কিছুটা গরম জল যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি আপনার মাড়িতে পরিষ্কার আঙ্গুল দিয়ে লাগান। পাঁচ মিনিট পর এক মিনিট আলতো করে ম্যাসাজ করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এক থেকে দুই সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন দুবার ব্যবহার করুন। এভাবেই ব্যবহার করতে থাকুন তাহলে দেখবেন আপনার দাঁতের মাড়ি খুব দ্রুতভাবেই ফুলা কমে গেছে।
লেবু পানি ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ির ফুলা কমানোর উপায়
লেবু পানি ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে চলুন এখন আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। আপনি কি জানেন লেবু পানি ব্যবহার করে খুব দ্রুত ভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানো থেকে রক্ষা পেতে পারবেন। কারণ লেবুতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। তাই মাড়ির ফোলা সমস্যা সমাধানে এটি সহায়ক। লেবুতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং পেকটিন ফাইবারও রয়েছে। এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
এটি মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। একটি লেবু এবং এক গ্লাস গরম পানি নিয়ে একসঙ্গে একটি গ্লাসের মধ্যে মিশিয়ে নিন এরপরে ভালোভাবে কুলকুচি করুন। এভাবেই গ্লাসে যত পানি থাকবে সব পানি দিয়ে কুলকুচি করবেন। এইটি দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন এতে করে আপনার দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানো থেকে খুব দ্রুত ভাবে রক্ষা পেতে পারবে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ির ফুলা কমানোর উপায়
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ির ফুলা কমানোর উপায় সম্পর্কের চলন আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। আপনি হয়তো জানেন না অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে আপনি আপনার দাঁতের মাড়ির গোড়া খুব দ্রুতভাবেই ঠিক করে নিতে পারবেন। কারণ এটি অ্যালোভেরা জেল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ এবং মাড়ির সমস্যার জন্য চমৎকার।
একটি পাত্রে ২ থেকে ৩ চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান, ভালভাবে মেশান এবং মাড়িতে লাগান। কিছুক্ষণ একা রেখে দিন। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই কৌশলটি ব্যথা উপশমে কার্যকর। তাই দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর জন্য নিয়মিত ভাবেই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
সরিষার তেল ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ির ফুলা কমানোর উপায়
সরিষার তেল ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ির ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে চলুন এখন আমরা জেনে নেই। সরিষার তেল ব্যবহার করে আপনি আপনার দাঁতের মাড়ি খুব দ্রুত ভাবে ফুলা কমানো থেকে বাঁচাতে পারবে। কারণ সরিষার তেলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি প্রদাহ কমাতে এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
সরিষার তেলের সাথে কিছু লবণ মিশিয়ে মাড়িতে লাগান আপনি এই চিকিত্সাটি দিনে ৩-৪ বার করতে পারেন এবং বারবার ব্যবহারে আপনি শীঘ্রই সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন। তাই যারা দাঁতের মাড়ি ফুলা কমাতে চান তারা এই পদ্ধতিতে নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করুন।
দেখবেন আপনার দাঁতের মাড়ি অল্প দিনেই ফুলা কমে গেছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সম্পূর্ণ ভাবে জানলাম দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। চলুন এখন আমরা জেনে নেই দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কিভাবে
দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কিভাবে
দাঁতের মাড়ির ফুলে যায় কিভাবে সে সম্পর্কে চলুন এখন আমরা একটু বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। আপনি কি জানেন আপনার দাঁতের মাড়ি কিভাবে খুব দ্রুত ভাবে ফুলে যায়। অবশ্যই জানেন না। দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যা পিরিয়ডোনটাইটিস নামেও পরিচিত।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ছত্রাকের সংক্রমণ, অপুষ্টি, গর্ভাবস্থা, ভিটামিন সি-এর অভাব বা দাঁতে খাবার আটকে থাকা মাড়ি ফুলে যাওয়ার প্রধান কারণ। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করা আপনার মুখের স্বাস্থ্যকেও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। খাবার খাওয়ার পরে অবশ্যই আপনাকে ব্রাশ করে নিতে হবে তা না হলে আপনার দাঁতে জীবাণু আটকে থাকার কারণে আপনার দাঁতের মাড়ি ব্যথা হয়ে যেতে পারে।
এবং কি দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই খাবার খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করে নেবেন। সঠিক সময়ে দাঁতের চিকিৎসা গ্রহণ করুন এতে করে আপনার দাঁত সুস্থ থাকবে আপনিও সুস্থ থাকতে পারবেন।
দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার জন্য পাঁচটি ভিটামিন
দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার জন্য পাঁচটি ভিটামিন সম্পর্কে চলুন আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। জীবন যাপন করতে হলে আমাদের দাঁত কে অবশ্যই সুস্থ রাখতে হবে। এবং পরিষ্কার রাখতে হবে তা না হলে অন্য জনের সামনে দিয়ে আপনি কথা বলতে পারবেন না আপনার দাঁত থেকে বিচ্ছিন্ন দুর্গন্ধ বের হবে। দাঁত যদি সুস্থ না থাকে তাহলে আমাদের কেমন যেন একটা লাগে।
স্বাস্থ্যকর মাড়ি এবং দাঁত শুধুমাত্র একটি সুন্দর হাসি নিশ্চিত করে না, আপনার মুখকেও সুস্থ রাখে। একটি অস্বাস্থ্যকর মুখ আপনার শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অতএব, সঠিক যত্ন অপরিহার্য। কিছু ভিটামিন এবং খনিজ স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। নিরাপত্তা বাড়ায়। শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে মাড়ি ও দাঁতের সমস্যা হতে পারে। বোল্ডস্কাই লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বেশ কয়েকটি ভিটামিনের কথা উল্লেখ করেছে যা স্বাস্থ্যকর মাড়ি এবং দাঁত বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন এ ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়
ভিটামিন এ ব্যবহার করে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে জানবো। আমাদের দাঁত কে সুস্থ রাখার জন্য ভিটামিন এ অন্যতম একটি উপাদান। এটা আমাদের দাঁত কে সুস্থ রাখবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি করে দিতে পারবে। ভিটামিন এ স্বাস্থ্যকর মাড়ি বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং মুখের লালা বজায় রাখে। ভিটামিন এ পাওয়া যায় সবজি যেমন গাজর, আম, মিষ্টি আলু এবং মাছের তেলে। এ সকল জিনিস খাওয়ার ফলে আপনার দাঁত সুস্থ রাখতে সহায়ক করবে।
ভিটামিন বি খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়
ভিটামিন বি খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে চলুন আমরা এখন জেনে নেই। ভিটামিন বি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো এবং কে আমাদের দাঁতের জন্য অনেক উপকার রয়েছে। ভিটামিন বি খাওয়ার ফলে আপনার দাঁতের সমস্ত ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং আপনার দাঁতকে সুস্থ রাখতে সহায়ক করবে।
জিহ্বার সংক্রমণ এবং ক্ষত প্রতিরোধ করে। মটরশুঁটি, মাংস, সবুজ শাকসবজি, কিডনি বিন ইত্যাদিতে ভিটামিন বি পাওয়া যায়। তাই দাঁতকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে খাদ্যের তালিকা সঙ্গে ভিটামিন বি খাওয়ার অভ্যাস করে নিন।
ভিটামিন সি খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়
ভিটামিন সি খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে আমরা এখন জানবো। দাঁত কে সুস্থ রাখার জন্য এবং দাঁত কে মজবুত এবং দাঁতের সমস্ত ধরনের ব্যাকটেরিয়া দূর করার অন্যতম সেরা মাধ্যম হলো ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া। ভিটামিন সি এর অভাবে আপনার দাঁতের মাড়িতে রক্তপাত হয়। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমনঃ লেবু, কমলা, মালটা, আমলকি, পেয়ারা, কাঁচা মরিচ, ইত্যাদি ভিটামিন সি জাতীয় মধ্যে পাওয়া যায়। তাই সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস করে নিন।
ভিটামিন ডি খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়।
ভিটামিন ডি খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে আমরা এখন জানবো। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। এটি হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। উপরন্তু, শক্তিশালী মাড়ির জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি পিরিয়ডোনটাইটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর একটি চমৎকার উৎস। এছাড়া ডিম ও মাছেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত ভাবেই ভিটামিন ডি খাবার অভ্যাস করে নিবেন। এতে করে আপনার দাঁতের মাড়ি শক্তিশীল হতে সহায়ক করবে।
ভিটামিন কে খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায়
ভিটামিন কে খেয়ে দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে আমরা এখন জানব। আপনি কি জানেন ভিটামিন কে খেয়ে আপনি আপনার দাঁতের মাড়ি খুব সুন্দর ভাবে সুস্থ রাখতে পারবেন। শরীরে রক্তজমাট বাঁধার জন্য ভিটামিন কে অপরিহার্য। ভিটামিন কে-এর অভাবের কারণে মাড়ি থেকে রক্তপাতের ঝুঁকি থাকে। এর ঘাটতি মুখের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। সয়াবিন, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি। ভিটামিন কে এর ভালো উৎস। তাইতো আপনার দাঁতের জন্য সবথেকে ভালো হবে ভিটামিন কে খাওয়া। অবশ্যই নিয়মিত ভাবে খাবার চেষ্টা করবেন।
লেখক এর মন্তব্যঃ দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন দাঁতের মাড়ি ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এবং আরো জানতে পেরেছেন দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখার জন্য পাঁচটি ভিটামিন সম্পর্কে। জীবন যাপন করার জন্য দাঁতকে সুস্থ রাখা আমাদের কর্তব্য।
দাঁত সুস্থ না থাকলে আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় এবং সুস্থভাবে কোন কাজ করা যায় না এবং কি কোন কিছু খাওয়াও যায় না। তাই অবশ্যই আপনাকে দাঁতের যত্ন নিতে হবে। আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এবং এরকম আটিকের আরো পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।" ধন্যবাদ"
সাব্বির গাইড বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url