দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত তা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন

 

দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত এই সম্পর্কে আপনি কি জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণভাবে জানতে পারবেন দুবাই শহর কিসের জন্য বিখ্যাত এবং দুবাইয়ের বিখ্যাত শহর কোনগুলো সেই সম্পর্কে। বিস্তারিত ভাবে জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দুবাই-কিসের-জন্য-বিখ্যাত
মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে দুবাই একটি অন্যতম রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্র কিসের জন্য বিখ্যাত এবং কেন বিখ্যাত এই সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। অনেকেই দুবাইয়ের বিখ্যাত স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাই এখন আপনি সম্পূর্ণভাবে জেনে যাবেন দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত এবং জেনে যাবেন দুবাই বিখ্যাত শহর কোনগুলো রয়েছে সেই সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপএঃ দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত তা বিস্তারিতভাবে জেনে নিন

দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত

দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত এই সম্পর্কে চলুন এখন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই। বলতে গেলে দুবাই কোন দেশ না। এটি আরব আমেরিকাতে সবচেয়ে বড় এবং সুনাম অর্জনকারী শহরের মধ্যে হচ্ছে দুবাই। বড় বড় বাড়ি দামি দামি গাড়ি এবং উঁচু পাহাড় বিল্ডিং এর জন্য এবং আনন্দ উল্লাস করার জন্য এই দুবাই শহর বিখ্যাত। এই শহরটি ১৯৭০ সালে ছিল শুধু মরুভূমি এবং এখানে তখন বসবাস করত সাধারণ জেলে পল্লীরা। তখন এই শহরটি ছিল ১০ জনের মধ্যে দুইজন ধনী ব্যক্তি আর বাকি সবাই গরিব ব্যক্তিরা ছিল।
কিন্তু এখন এই দুবাই শহরটি অনেক উন্নতি হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের মধ্যে সুন্দরতম দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হলো দুবাই শহর। দুবাই শহরের বাসিন্দারা আনন্দ উল্লাস করার জন্য কোটি কোটি টাকা উড়াতে পারে। আপনি যদি এই শহরে যান তাহলে রাস্তায় বের হয়ে দেখবেন কোটি কোটি টাকার বড় বড় গাড়ি যেগুলো গাড়ি হল রোলস রয়েল ল্যাম্বারিগিনির এবং অ্যাস্টন মার্টিন এর মত দামী দামী গাড়ি এবং কি দুবাই শহরের পুলিশদের কাছেও এই সকল দামি দামি গাড়ি ভরপুর রয়েছে। এই দুবাই শহরে ২০ থেকে ১০০ কোটি টাকা দামের গাড়ির বাজারে রয়েছে এই শহরে।

কোটি কোটি টাকার এসব গাড়িতে কখনো কখনো দেখা যায় বাঘ এবং সিংহ। আমাদের দেশে যেমন শখের বয়সে কুকুর বিড়াল পুষে থাকে তেমনি তারা দুবাইয়ের ধনী ব্যক্তিরা শখের বয়সে সিংহ এবং বাঘের মতো ভয়ঙ্কর প্রাণী তারা পুষে থাকে। দুবাই একটি মুসলিম রাষ্ট্র হয়ে পড়েও এই শহরে মদ পান করা বৈধ রয়েছে। এবং কি এই শহরে মেয়েরা যে কোন পোশাকে ঘোরাফেরা করতে পারে। দুবাইয়ের সমুদ্র সৈকতে গেলে আপনি দেখতে পারবেন মেয়েদের কি রকম পোশাক পড়ে থাকে তারা।

দুবাইয়ের বাসিন্দারা এক স্থান থেকে অন্যস্থান যাওয়ার জন্য মোটরবাইক ব্যবহার করে থাকলেও তারা বেশির ভাগে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে থাকেন। আমাদের দেশে যেমন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মোটর বাইক কিংবা অন্যান্য গাড়ি নিয়ে আমরা যাই কিন্তু দুবাইয়ের বাসিন্দারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা তাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক। এবং কি দুবাইয়ে বিশ্বের সর্বপ্রথম হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করা হয়।

এই দুবাইয়ের বিমানবন্দর বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়তম বিমানবন্দর। দুবাইয়ে তারা যা আয় করে তার প্রায় ১৫ শতাংশই আসে এই বিমানবন্দর থেকে। এই বিমানবন্দরে প্রায় প্রতিদিন দশ থেকে বারো হাজার বিমান উঠানামা করে থাকে। আর প্রতিবছরে নয় কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দরে যেয়ে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের জনসংখ্যায় সব থেকে বেশি। বিখ্যাত দুবাই শহরে এত সুন্দর তৈরি করার সাথে মিশে রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পরিশ্রমিক রক্ত ও ঘাম। এই দুবাই থেকে আয় করা হয় বাংলাদেশের সব থেকে বেশি পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছরেই আরব থেকে ২ লক্ষ ২০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছেন বাংলাদেশ। এর থেকেও বেশি এখন আয় করে থাকেন বৈদেশিক মুদ্রা। এখন প্রায় বর্তমানে আরবের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হয় ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর কারণ হলো বর্তমান সময়ে আরব কান্ট্রিতে বাংলাদেশের প্রবাসীরা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। প্রতিবছরে প্রায় হাজার হাজার বাঙালি আরব কান্ট্রিতে প্রবেশ করছেন।
পৃথিবীর অনেক বড় বড় শহরের মতোই দুবাই করে তুলেছেন জল পদকের কেন্দ্র। উপসাগরের পাশে অবস্থিত এই শহরকে পথিক করে রেখেছেন দুবাই খাল। এই খালের একপাশে রয়েছে দেরা দুবাই এবং আরেক পাশে রয়েছে বার দুবাই। দেরা দুবাই হল আধুনিক আকাশচুম্বী অট্টালিকাগুলির একটি শহর। আর বার দুবাই ধারণ করে রেখেছেন দুবাইয়ের প্রাচীন ঐতিহ্য। বার দুবাইয়ে অধিবাসীদের বসবাস রয়েছে। আর দেরা দুবাইয়ে জনপ্রিয় দামি দামি হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং শপিংমল এবং সুন্দর সুন্দর ঝকঝকে রাস্তা রয়েছে দুবাইয়ের দেরাতে।

এটাই হলো দুবাই সব থেকে সুন্দর জায়গা। এখানেই মিলবে আপনার দুবাইয়ের বিখ্যাত সুন্দর জায়গা। তাই আপনি যদি এই জায়গা দেখতে চান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি দুবাই শহরে চলে যায়। তাহলে আপনার মিলে যাবে বিশ্বের মধ্যে সেরা সুন্দর শহরের মধ্যে একটি। এই আর্টিকেল আপনি সম্পূর্ণভাবে জানবেন দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত। এবং আপনি এখন আরও জেনে যাবেন দুবাইয়ের সেরা জায়গা গুলো কি কি রয়েছে সেই সম্পর্কে।

দুবাইয়ের সেরা ৮ টি দর্শনীয় স্থান

এখন আমরা জানবো দুবাইয়ের সেরা দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। আপনি হয়তো জানেন না দুবাইতে সেরা দর্শনীয় স্থান কোন গুলো রয়েছে সেই সম্পর্কে। কিন্তু এখন আপনি জেনে যাবেন দুবাইয়ের কোন স্থানগুলো সব থেকে সেরা এবং সুন্দরতম। দুবাই হলো আরব কান্ট্রির মধ্যে অন্যতম সেরা রাজধানীর নাম হলো দুবাই। ৮ টি আমিরাতের মধ্যে সবথেকে সৌন্দর্য এবং জনবহুল শহর হল দুবাই। এই দুবাই শহর ১৯ শতকে ছোট মাছ ধরার গ্রাম হিসাবে পরিচিত ছিল।
বিশ শতকের দিকে এসে শুরু হয়ে যায় একটি বাণিজ্যক কেন্দ্র পরিচিত এবং ২০ শতকের শেষের দিকে যে ২১ শতকের প্রথম দিকে উন্নতি লাভ করেন এই দুবাই শহর। বিশ্বের সবথেকে দামি দামি হোটেল গুলোর মধ্যে রয়েছে দুবাই এবং বিশ্বের সবথেকে বড় বিল্ডিং রয়েছে দুবাই শহরে বুর্জ খলিফা। এই বুর্জ খলিফা ১২৮ মিটার এবং ২৭১৭ ফুট লম্বা। এছাড়াও দুবাইয়ে আরো অনেক ধরনের দর্শনীয় স্থান রয়েছে। চলুন এখন জেনে নেই দুবাইয়ের সেরা ৭ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

আকর্ষণীয় বুর্জ খলিফা ভবন

বুর্জ খলিফা দুবাইয়ের একটি আকর্ষণীয় ভবন। এই বুর্জ খলিফা ২০১০ সালে সুনাম অর্জন করেন এবং বিশ্বে প্রচারিত হয়ে যান। এই বুর্জ খলিফা হলো বিশ্বের সবথেকে উঁচু ভবন। এর উচ্চতা প্রায় ৮২৯.৮ মিটার এবং এটি ছাদের উচ্চতা প্রায় ৮২৮ মিটার। ২০০৯ সালে এই বিল্ডিংটি টপ আউট হওয়ার পর বিশ্বের সবথেকে উঁচু ভুবন হয়ে যায়। এই বুর্জ খলিফা কাজ শুরু হয় ২০০৪ সাল থেকে এবং এটি শেষ হয় ২০০৯ সালে প্রায় ৫ বছর ধরে এই উচল বিল্ডিংটি নির্মাণ করা হয়।
আকর্ষণীয়-বুর্জ-খলিফা-ভবন
মূল কাঠামো কংক্রিটের তৈরি করা হয়। এবং বিল্ডিং কাঠামোর কিছু অংশ ইস্পাত দিয়ে তৈরি। এটি বার্লিনের প্রজাতন্ত্রের প্রাসাদের আদলে তৈরি। বিল্ডিংটি ২০১০ সালে নতুন ডাউনটাউন দুবাই প্রকল্পের অংশ হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। বুর্জ খলিফা নির্মাণ তেল অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং দুবাইকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করেন। আপনি যদি দুবাই শহরে যান তাহলে অবশ্যই এই বুর্জ খলিফা দেখে আসবেন।

আকর্ষণীয় দুবাইয়ের পাম দ্বীপ

পাম জুমেইরা একটি দ্বীপ যা একটি বৃত্তের মধ্যে একটি স্টাইলাইজড পাম গাছের মতো আকৃতির। ২০০১ সালে এই দ্বীপের নির্মাণ শুরু হয়। ২০০৯ সাল নাগাদ এখানে ২৮ টি হোটেল তৈরি করা হয়েছিল। আটলান্টিস পাম বর্তমানে জুমেইরাহতে নির্মিত বৃহত্তম হোটেল। ২০১৫ সালে দ্বীপটিতে ১৮,০০০ এর বেশি বাসিন্দা ছিল। পাম দ্বীপ একটি কৃত্রিম দ্বীপ।
আসল পাম জুমেইরাহ থেকে ৫০% বড় পাম গাছ সহ একটি জায়গা। দ্বীপের আকৃতি একটি বড় অর্ধচন্দ্রের মতো। একটি ক্রিসেন্ট সাইট তৈরি করা হয়েছিল এবং একটি হাঁটার পথ তৈরি করার জন্য গাছ লাগানো হয়েছিল ২০০১ সালে। এটি ২০১৮ সালে শেষ হয়েছিল। ২০০৭-২০০৮ আর্থিক সংকট অগ্রগতি বন্ধ করে দেয়।

দুবাইয়ের আকর্ষণীয় দুবাই মল

২০২৩ সাল পর্যন্ত দুবাই মলকে মূলত দুবাই মল বলা হত। দুবাই মল হল দুবাইয়ের একটি শপিং সেন্টার। ওয়েস্ট এডমন্টন মল এবং ফ্যাশন আইল্যান্ড (ব্যাংকক) সহ এটি এলাকা অনুসারে বিশ্বের বৃহত্তম শপিং সেন্টারগুলির মধ্যে একটি। মোট ইজারাযোগ্য এলাকার উপর ভিত্তি করে, এটি বিশ্বের ২৬ তম বৃহত্তম শপিং সেন্টার। দুবাই মলের মোট আয়তন ৫০২,০০০ বর্গ মিটার (৫,৪০০,০০০ বর্গ ফুট)। এই ২০ বিলিয়ন ডলারের ডাউনটাউন কমপ্লেক্স সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইকনিক বুর্জ খলিফা আকাশচুম্বী ভবনের সংলগ্ন। এখানে ১২০০ টিরও বেশি দোকান রয়েছে। ২০১১ সালে এটি বিশ্বের বৃহত্তম শপিং সেন্টার নামে পরিচিত। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মলের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে দ্য দুবাই মল থেকে দ্য দুবাই মলে পরিবর্তন করা হয়েছিল।

দুবাইয়ের আকর্ষণীয় পাম আইল্যান্ড

পাম দ্বীপ বিশ্বজুড়ে একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য। উচ্চস্বরে কৃত্রিম দ্বীপগুলির মধ্যে একটি। পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং সমুদ্রে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য তিনটি দ্বীপ তৈরি করা হয়েছিল। সমুদ্রের মধ্যে তিনটি বালির দ্বীপ আছে যেগুলো ওপর থেকে তাল গাছের মতো দেখায়। বিলাসবহুল হোটেল এবং রিসর্ট এখানে অবস্থিত. আবাসিক সমুদ্র সৈকত, অ্যাপার্টমেন্ট, সুইমিং পুল, থিম পার্ক, রেস্টুরেন্ট, শপিং সেন্টার, হাসপাতাল এবং ক্রীড়া কমপ্লেক্স রয়েছে।

দুবাই আকর্ষণীয় মেরিনা

এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে উঁচু ভবনও। সুউচ্চ ভবন, অলঙ্কৃত "বল টাওয়ার" এবং সৈকত। অল্প সময়েই পর্যটকদের মন জয় করুন। দুবাই মেরিনা ঘুরে দেখার জন্য একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন বেছে নিন। এখানে আপনি মেরিনায় একটি ক্রুজের জন্য ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যাস্ত দেখার সময় আপনি আপনার প্রিয়জনের সাথে একটি দুর্দান্ত ডিনার উপভোগ করতে পারেন।

দুবাইতে আকর্ষণীয় স্কিইং

স্কি দুবাইয়ের আয়তন ২২৫০০০ বর্গ মিটার। এটি মূলত একটি ইনডোর স্কি হল। বিশ্বের প্রথম ৪০০ মিটার কালো স্প্রিন্টের বাড়ি। সেলুনে আপনি অনুভব করতে পারেন যে আপনি অ্যান্টার্কটিকা ভ্রমণে আছেন। স্কি দুবাইয়ের প্রধান আকর্ষণ হল জেন্টু পেঙ্গুইন এবং কিং পেঙ্গুইন। এখানে পেঙ্গুইনদের সাথে সাঁতার কাটা এবং বিশাল কাঁচের দেয়ালের মধ্য দিয়ে তাদের দেখা সত্যিই একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। এমনকি মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও আপনি আইসক্রিম এবং কফির কাপ উপভোগ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে বিশেষ ধরনের পোশাক পরতে হবে। দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত এ সম্পর্কে চলুন আরো জেনে নেই।

দুবাইতে আকর্ষণীয় আল বাস্তাকিয়া জেলা

আল-বাস্তাকিহ জেলাটি দুবাই ক্রিকের ঘাটে অবস্থিত। ছায়াযুক্ত এবং আচ্ছাদিত উঠান, পুরু দেয়াল সহ একটি এলাকা। এর প্রতীকী ছাদটি সবচেয়ে উঁচু উইন্ড টাওয়ার। আল বাস্তাকিয়েহ ফাহিদির ঐতিহাসিক কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। মরুভূমির তাপ এবং বালি সহ্য করার জন্য তৈরি। আপনি সরু রাস্তা এবং পুরানো কালো প্রবাল ঘরগুলির মধ্য দিয়ে হাঁটতে গিয়ে অবাক হয়ে যাবেন। আলবাস্তাকিয়ে আকর্ষণীয় গ্যালারি, ক্যাফে এবং স্যুভেনির শপগুলিতে পূর্ণ। স্থানীয় আরবি ব্রেকফাস্ট ট্রে উপভোগ করুন।

দুবাইয়ের বিখ্যাত কফি মিউজিয়াম

দুবাই কফি মিউজিয়াম হল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের ঐতিহাসিক আল ফাহিদি জেলার একটি কফি জাদুঘর। এটি আপনাকে কফির ইতিহাস, কফি সংস্কৃতি এবং কফি বাগান কর্মীদের জীবন সম্পর্কে কিছু শিখতে দেয়। এছাড়াও আরবি ঐতিহ্য, কফি তৈরি যেমন রোস্টিং এবং গ্রাইন্ডিং কফি এবং সময়ের সাথে সাথে ব্যবহৃত মেশিনগুলি সম্পর্কেও জানুন।
দুবাইয়ের-বিখ্যাত-কফি-মিউজিয়াম
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে কফির গুরুত্ব অনেক বেশি। ঐতিহাসিক আল ফাহিদি এলাকা পরিদর্শন করার সময় দুবাই কফি মিউজিয়ামে একটি পরিদর্শন অপরিহার্য। কফি মিউজিয়াম হল একটি সুন্দর এবং আরামদায়ক জায়গা যেখানে বসে আপনার কফি উপভোগ করা যায়। কফি তৈরি করতে ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলি দেখে মূল্যবান। জাদুঘরে অনেক কফি বিশেষজ্ঞ আছেন যারা আপনাকে সবকিছু ব্যাখ্যা করবেন।

দুবাই কোন মহাদেশে অবস্থিত

এশিয়া "মধ্যপ্রাচ্য" সমগ্র এশিয়ার অংশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, এই "মহাদেশীয়" উপাধিগুলি কখনও কখনও ভূতাত্ত্বিক থেকে বেশি সাংস্কৃতিক হয়। দৃঢ়ভাবে বলতে গেলে, উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপ এবং এশিয়া শুধুমাত্র একটি বিশাল ল্যান্ডমাস (ইউরেশিয়া)। উপরন্তু, আফ্রিকা আসলে ইউরেশিয়ার সাথে সংযুক্ত এবং দুর্বল কৃত্রিম সুয়েজ খাল তাদের আলাদা করে।

একইভাবে পশ্চিম গোলার্ধে আলাদা কোনো মহাদেশ নেই। উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা হল ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বর্ণনাকারী যাদের অঞ্চলগুলি পরস্পর সংযুক্ত। আসলে "আমেরিকা" বলে কোন দেশ নেই। জার্মান মানচিত্রকার মার্টিন ওয়াল্ডসিমুলার আমেরিগো ভেসপুচির ভ্রমণ এবং লাতিন আমেরিকার প্রাণবন্ত চিত্রের নামানুসারে গোলার্ধের নামকরণ করেন। অতএব, দেশটির সরকারী নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (অর্থাৎ আমেরিকার অন্তর্গত)।

দুবাই রাজধানীর নাম কি

দুবাইয়ের রাজধানীর নাম কি এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। দুবাই রাজধানী সম্পর্কে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন। কিন্তু কেউ সঠিকভাবে জানেন না এখন আপনি সঠিকভাবে জানতে পারবেন দুবাইয়ের রাজধানীর নাম কি।

দুবাইয়ের রাজধানী নাম হলঃ আবুধাবি

লেখকের মন্তব্যঃ দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত

প্রিয় পাঠক আজকেরে আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত এবং দুবাইয়ের সেরা দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে এবং দুবাইয়ের রাজধানীর নাম দুবাই কোন মহাদেশ অবস্থিত এ সম্পর্কে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার যে বন্ধু দুবাই পছন্দ করে তার সঙ্গে শেয়ার করুন। আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এত সময় সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাব্বির গাইড বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url