সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়
সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে আপনি কি জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় এবং আরো জেনে যাবেন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
কিসমিস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস ভিজিয়ে খান তাহলে অনেক উপকারিতা পাবেন। সেই সম্পর্কেই আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে। সম্পূর্ণভাবে আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে যাবেন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপএঃ সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়
সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়
সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে চলুন আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। মুসলিম জাতির মধ্যে কিসমিস খেতে সকলের পছন্দ করে। পায়েস থেকে শুরু করে সেমাই পোলাও প্রায় অনেক ধরনের খাবারের সঙ্গে কিসমিস দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও কিসমিস এমন একটি খাবার যে খাবারটা আপনি কোন কিছুর মাধ্যমে না খেয়েও এমনি খেয়ে নিতে পারবেন।
তবে কিসমিস খাওয়াইতে শুধু উপকারিতা রয়েছে তা নয় কিন্তু। কিসমিসের পানি খেলেও আপনি প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা পাবেন। কিসমিস যে ধরনেরই হোক না কেন পানির সঙ্গে মিশিয়ে আপনি সেটি খেতে পারবেন। সারারাত একটি পাত্র মধ্যে কিসমিস এবং পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিবেন। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কিসমিসের জলটি একটু গরম করে নিয়ে খেয়ে নিবেন।
এরপরে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর আপনি অন্য কিছু খাবেন। এই খাবারটি যদি আপনি সপ্তাহে তিন দিন বা চার দিন খেতে পারেন তাহলে আপনি প্রচুর উপকারিতা পাবেন। আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন কিসমিস এবং কিসমিসের পানি খাওয়ার মাধ্যমে। চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।
কিসমিসের পানি খেলে কি উপকারিতা হয়
কিসমিসের পানি খেলে কি উপকারিতা হয় চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। কিসমিসের পানি পান করা অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু অনেকে জানেন না কি কেউ উপকারিতা রয়েছে। এখন আপনি জেনে যাবেন কিসমিসের পানি খেলে কি উপকারিতা হয় সেই সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ আপনি যদি সপ্তাহে তিন দিন বা চার দিন কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করেন তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনার কোষ্টকাঠিন্যর সমস্ত সমস্যা খুব দ্রুতভাবেই দূর হয়ে যাবে।
শরীরে রক্ত বৃদ্ধি পাবেঃ কিসমিস ভেজানো পানি খেলে পরে আপনার শরীরে রক্তে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। যাদের শরীরে রক্তেও তাপমাত্রা কম রয়েছে এবং শরীরের রক্ত কম তারা নিয়মিতভাবেই কিসমিস ভেজানো পানি একটু গরম করে নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিন।
হার্ট সুস্থ রাখেঃ কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম ও ফাইবার যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং আপনার শরীরের হার্টকে সুস্থ রাখে। তাই যাদের হার্ট সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিতভাবে কিসমিসের পানি খাওয়া শুরু করে দিন।
শরীরে গরমের তাপমাত্রা কমিয়ে আনেঃ গরমের সময় কিসমিসের পানি খাওয়া অনেক উপকার রয়েছে। কারণ গরমের সময় বিভিন্ন ধরনের কাজ করার পরে আমাদের শরীরের জলের মাত্রা একেবারেই কমিয়ে আনে। শরীরের জলের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে কিসমিসের পানি খাওয়া শুরু করে দিবেন। এটা আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন খাবেন। তাহলে আপনার শরীরের গরমের তাপমাত্রা কমিয়ে আনবে।
দাঁত এবং হাড় সুস্থ রাখেঃ নিয়মিতভাবে কিসমিসের পানি খেলে পড়ে আপনার দাঁত এবং হাড়কে সুস্থ রাখতে সহায়ক করবে। যাদের দাঁতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা সপ্তাহের দুই থেকে তিন দিন কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খাওয়া শুরু করে দেন। এতে করে আপনার দাঁত এবং হাড়ের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আমরা এত সময় জানলাম কিসমিসের পানি খেলে কি উপকারিতা হয় সেই সম্পর্কে। আপনি যদি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন কিসমিসের পানি ভিজে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে এই সকল উপকারিতা গুলো খুব সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও কিসমিসের পানি খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকার হয়েছে।
সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেন না? কিন্তু আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি বিস্তারিত ভাবে জেনে যাবেন। প্রথমেই আপনি যে কিসমিস খাবেন সে কিসমিস গুলো ঠান্ডা পানি দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর একটি গ্লাসে পরিষ্কার পানি নিয়ে কিসমিস গুলো মিশিয়ে রাখবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিসমিস গুলো সুন্দরভাবে ছেঁকে নিবেন।
এরপর হালকা পানি দিয়ে গরম করে নিবেন গরম করে নিয়ে সকালে খালি পেটে কিসমিস খাবেন। এবং কিসমিসের সঙ্গে যে পানি থাকবে এ পানিও খেয়ে নিবেন কারণ এই পানি খাওয়া অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনি যখন সকালে খালি পেটে কিসমিস এবং কিসমিসের পানি খাবেন তার সাথে সাথেই কিন্তু নাস্তা করবেন না অন্তর পক্ষে ৩০ মিনিট পরে নাস্তা করবেন।
যদি আপনি এভাবে কিছুদিন খালি পেটে কিসমিস খান তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর পুষ্টির গুন উপাদান যোগ হবে এবং আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার পরে আপনি সারাদিনে যা কাজ করবেন তার প্রয়োজনীয় যে সকল শক্তি লাগবে তা কিসমিস এবং কিসমিসের পানি খাওয়ার ফলে পাওয়া যায়।
আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কিসমিসের পানি খাবেন এরপরে আপনি যদি কাজ শুরু করেন তাহলে আপনার মন ভালো থাকবে এবং আপনার কাজের প্রতি একটা চাহিদা আসবে এবং আপনি প্রচুর পরিমাণে এনার্জি পাবেন।
আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিসের পানি খেতে পারেন তাহলে কি কি উপকারিতা পাবেন তা আমরা উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। তাই আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই খাবে পেটে কিসমিস কিংবা কিসমিসের পানি খাওয়া শুরু করে দিন। স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা পাবেন।
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। অনেকেই কিসমিস সেমাই হালুয়া পোলোও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবারের সঙ্গে রান্না করে খেয়ে থাকে। আবার অনেকেই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কিসমিস ভিজিয়ে খেয়ে থাকে।
এটি আপনি যেভাবে খান না কেন অনেক উপকারিতা পাবেন। কিসমিসে পুষ্টিগুণ উপাদানে ভরপুর। কিসমিস খাওয়ার আরও একটি উপায় হল প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেয়ে ঘুমানো।
পরিষ্কার পানি দিয়ে কিসমিস ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে এইটি খাওয়া অনেক উপকার রয়েছে। প্রতিদিন রাতে যদি আপনি দুধের সঙ্গে কিসমিস খান তাহলে আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে যেমন চোখ ব্যথা চোখ ওঠা চোখে কম দেখা ইত্যাদি জাতীয় সমস্যা থেকে আপন মুক্তি পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি নিয়মিত ভাবে রাতে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করে নিতে পারেন তাহলে আপনার হাঁটুর ব্যথা দূর হয়ে যাবে। এবং হাঁটুর অন্যান্য সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন। এর কারণ হলো কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। সবথেকে ভালো হয় আপনি যদি কিসমিস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে শরীরের ক্যারেসিয়াম আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
আপনি যদি নিয়মিতভাবে রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সঙ্গে কিসমিস খেয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। অনেকেই রয়েছে রাতের বেলা ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না কিন্তু কিসমিস আপনি যদি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার রাতের ঘুম খুব ভালো হবে।
বিশেষকরা বলেছেন প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পাঁচটি থেকে ছয়টি কিসমিস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে খেলে পরে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়। তাই নিয়মিতভাবে রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সঙ্গে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করুন। আজকের আর্টিকেলে আপনি সম্পূর্ণভাবে জানতে পারবেন সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে চলুন আমরা এখন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই। কিসমিস আমরা বিভিন্ন উপায় খেয়ে থাকি কেউ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খায় কেউ দুধের সঙ্গে খায় এবং রান্না করেও খায়।তবে কিসমিস আপনি যেভাবে খান না কেন কিসমিস খাওয়া অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিসমিস খাওয়াতে কি কি উপকারিতা রয়েছে সেই সম্পর্কে চলুন আমার এখন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।
- কিসমিস খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- রক্তের শরকরা দূর করতে নিয়মিতভাবে কিসমিস খেতে পারেন।
- ত্বককে সুন্দর রাখতে এবং উজ্জ্বল করে তুলতে কিসমিস সহায়ক করে।
- রক্তে শূন্যতা দূর করে দেয় কিসমিস খাওয়ার ফলে।
- নিয়মিতভাবে কিসমিস খেলে শরীরের হাড় মজবুত করতে সহায়ক করবে।
- টিউমার জাতীয় রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারবেন নিয়মিতভাবে কিসমিস খাওয়ার ফলে।
আমরা এত সময় জানলাম কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি নিয়মিতভাবে কিসমিস খেতে পারেন তাহলে আপনি এই সকল উপকারিতা গুলো খুব সহজে আপনি পেয়ে যাবেন। কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার হয়েছে। এটি যদি আপনি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী খেতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন। তাই চেষ্টা করবেন কিসমিস সঠিকভাবে খাবার।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। প্রতিদিনই কিন্তু খাবার খাওয়ার আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কিসমিস এমন একটি খাবার যেটি আপনি যখন তখন খেতে পারেন কিন্তু নির্দিষ্ট টাইম অনুযায়ী খাওয়ায় সব থেকে ভালো। কিসমিস এমন একটি খাবার যে খাবারটি আপনি শুকনো অথবা ভিজিয়ে খুব সহজে খেতে পারবেন।
কিসমিস ভিজে খাবারের নিয়ম হলো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটি গ্লাসে পানি নিয়ে ছয় সাতটা কিসমিস নিয়ে সেই পানির মধ্যে সুন্দরভাবে ভিজিয়ে রাখা। এবং এটি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে সুন্দরভাবে ছেঁকে নিয়ে কিসমিস দিয়ে পানি গরম করে সেই কিসমিস খাওয়া অথবা আপনি কিসমিসের পানিও খেতে পারবেন। আবার রাতে যদি আপনি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে কিসমিস খেতে পারেন এতে করে অনেক উপকার হবে।
শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়
শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় সে সম্পর্কে চলুন আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। উপরে আমরা জেনেছি সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় কিসমিস খাওয়ার নিয়ম রাতে ঘুমানোর কিসমিস খেলে কি হয় এসব সম্পর্কে আমরা জেনেছি। কিন্তু এখন আমরা জানবো শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে।
কিসমিস যেহেতু খাওয়া যায় এটা আপনি শুকনো কিংবা রান্নার উপরে যেভাবেই খান না কেন আপনার জন্য অনেক উপকার হয়েছে। শুধু পানি এবং দুধের সঙ্গে মিশিয়ে কিসমিস খাবার উপকারিতা রয়েছে তা নয় কিন্তু। এটি আপনি শুকনো খেলে পরেও অনেক উপকারিতা পাবেন। চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।
- প্রতিদিন আপনি যদি শুকনো কিসমিস খান তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে এবং হাড়ের সমস্যা রয়েছে তারা শুকনো কিসমিস খাওয়া শুরু করে দিয়েন। এটা অনেক উপকারী দাঁত এবং হাড়ের জন্য।
- ক্যান্সারের ঝুঁকে থেকে কমিয়ে দিতে পারে শুকনো কিসমিস খাওয়ার ফলে।
- নিয়মিত ভাবে কিসমিস খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- রক্তে শূন্যতা দূর হয়ে যায় শুকনো কিসমিস খাওয়ার ফলে।
- মস্তিষ্ক ভালো রাখতে শুকনো কিসমিস অনেক উপকারিতা রয়েছে।
- হৃদ রোগ থেকে মুক্তি করে দিতে পারবে শুকনো কিসমিস খাওয়ার ফলে।
আমরা এত সময় জানলাম শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। আশা করি আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আপনি যদি নিয়মিতভাবে শুকনো কিসমিস খেতে পারেন তাহলে আপনি সকল উপকারিতা গুলো খুব সহজে আপনি পেয়ে যাবেন। শুকনো কিসমিস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই নিয়মিত ভাবে এটি আপনি খেতে পারেন।
অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়
অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে চলুন আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। কিসমিস যেহেতু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনি নানান ধরনের বিপদের মধ্যেও করতে পারেন। কারণ কিসমিসে রয়েছে ফাইবার প্রোটিন পটাশিয়াম ভিটামিন বি আয়রন ইত্যাদি পুষ্টিগুণ উপাদান।
কিসমিস সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে অনেক উপকার হয়েছে। কিন্তু এটি পরিমাণ মতো খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে এর বেশি খেলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়বেন। চলুন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।
এলার্জি সমস্যাঃ এক এক মানুষের এক এক ধরনের খাবারে এলার্জি রয়েছে। তাই যাদের কিসমিসে এলার্জি রয়েছে তারা কিসমিস খাওয়া থেকে বিরতি থাকবেন। এবং যারা অতিরিক্ত কিসমিস খেয়ে থাকেন তাদের যদি এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি বিরতি থাকবেন।
ওজন বৃদ্ধি করে দেয়ঃ যাদের ওজন কম তারা প্রতিনিয়ত ভাবে কিসমিস খেয়ে থাকেন কিন্তু এটি যদি আপনি অতিরিক্ত গ্রহণ করেন তাহলে আপনি কিন্তু খুব সহজেই মোটা হয়ে যেতে পারবেন। যদি আপনি মোটা হতে না চান তাহলে অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া থেকে নিজেকে বিরতি রাখুন।
রক্তের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়ঃ কিসমিস একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার চিনি এবং ক্যালোর পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করা পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে এবং আপনার রক্তে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। তাই এটি পরিমাণ মতো খাবেন।
পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিবেঃ কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং আঁশ। এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনার পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা দেখা দিবে।
হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দিবেঃ কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এটি যদি আপনি অতিরিক্ত গ্রহণ করেন তাহলে আপনার হজম শক্তিতে খুব দ্রুত ভাবে সমস্যা দেখা দিবে।
আমরা এত সময় জানলাম অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। আপনি যদি পরিমাণ মতো না খেয়ে অতিরিক্ত কিসমিস খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত এ সকল সমস্যার মধ্যে খুব সহজে পড়ে যেতে পারবেন। তাই যখন কিসমিস খাবেন সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণ মতো কিসমিস খাবেন। সবচেয়ে ভালো হবে আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিসমিস খাওয়া শুরু করে দিবেন। তাহলে আপনি কোন বিপদের মধ্যে পড়বেন না।
লেখকের মন্তব্যঃ সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। এবং কিভাবে কিসমিস খাবেন সকাল এবং রাতে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য যেহেতু অনেক উপকারিতা রয়েছে তাই এটা আপনি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত লোকদের সঙ্গে শেয়ার করে দেন। এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট সেকশন নামে একটু অপশন রয়েছে সেখানে আপনি মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন। এত সময়ের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সাব্বির গাইড বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url