ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা জেনে নিন
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের
অপকারিতা এবং আরো জেনে যাবেন মোবাইল আবিষ্কার করেন সেই সম্পর্কে।
এখনকার যুগে অনেকেই মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন। মোবাইল ফোনের উপকারিতা ছাড়াও
বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির দিক রয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না এখনো ছাত্র জীবনে
মোবাইল ফোন ব্যবহার করা কতটা ক্ষতিকর। কিন্তু এই আর্টিকেলটি আপনি যদি
সম্পূর্ণভাবে পড়তে পারেন তাহলে আপনি জেনে যাবেন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার
করার কি কি ক্ষতি রয়েছে সে সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপএঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে চলুন এখন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে বেশিরভাগ ছাত্রই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ছাত্র অবস্থায় যে সকল ছেলেমেয়েরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের অনেক ক্ষতির
মধ্যে পড়তে হয়। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের
অপকারিতা কি কি রয়েছে সেই সম্পর্কে।
চোখের সমস্যাঃ বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই মোবাইলের পিছনে এখন অনেক সময় ব্যয়
করছে। এবং তারা একভাবে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকে এভাবে তাকিয়ে থাকার ফলে তার
চোখে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায় এবং চোখ লাপপারা শুরু
হয়ে যায়।
কানের সমস্যাঃ এখনকার সময় বেশিরভাগ ছাত্ররাই কানে হেডফোন লাগিয়ে বিভিন্ন
ধরনের জিনিস দেখে। যার ফলে তার কানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সে কানে কম
শুনতে পায়। অনেক সময় ধরে ফোনের সঙ্গে হেডফোন ব্যবহার করলে কানের সমস্যা হয়ে
যায়।
পড়াশোনার ক্ষতি হয়ঃ ছাত্র অবস্থায় যদি কোন ছাত্র মোবাইল ফোন কিনে নিতে
পারে তাহলে তার ভেবে নিতে হবে পড়াশোনা তার শেষ। কারণ স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে
অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার উপর থেকেই মন উঠিয়ে নিয়েছে। এর কারণ
ছাত্র-ছাত্রীরা ভাবো জানেন। তাই আমি আর আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে জানালাম না।
ঘুমের অভাবঃ ফোনের উপরে যেই ছাত্র-ছাত্রী আসক্ত হয়ে যেতে পারে তাদের জন্য
রাতের ঘুম একদমই হারাম হয়ে যায়। কারণ তারা মা বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের
আঁধারে লুকিয়ে লুকিয়ে সারারাত ফোন ব্যবহার করে। এর ফলে তার ঘুম নষ্ট হয়ে যায়।
এবং পরবর্তীতে তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
যৌন শক্তি কমে যায়ঃ সারা রাত যদি কোন ছাত্র-ছাত্রীরা স্মার্টফোন ব্যবহার
করে এবং তারা যদি খারাপ জিনিস দেখে এরকম হবে তাদের সেক্স পাওয়ার বেড়ে যায়। যার
কারণে সে বিপক্ষ অনুসরণ করে যেটি তার শরীরের জন্য মোটেও উচিত নয়।
পুষ্টির অভাব দেখা দেয়ঃ ফোনের প্রতি আসক্ত হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা
ভালোভাবে খাবার খাই না। এর ফলে তাদের শরীরের পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। খাবারের
প্রতি রুচি আসে না কোন খাবার খেতে বসলে অল্প একটু খেয়েই উঠে চলে যায়। যার ফলে
তার শরীরের পুষ্টির অভাব দেখা দেয়।
শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েঃ স্মার্টফোন ব্যবহার করার কারণে বেশিরভাগ
ছাত্রছাত্রীদের শরীর আগের থেকে অনেকটাই কমে যায়। এর কারণ হলো স্মার্টফোন
ব্যবহারের কারণে তারা সুস্থভাবে কিছু খায় না সারাদিনরাত ফোন দেখে এবং ফোনে
বিভিন্ন ধরনের খারাপ ভিডিও দেখার কারণে তাদের শরীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তাই অবশ্যই বাবা-মার কখনোই উচিত নয় ছাত্র অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্মার্টফোন
কিনে দেওয়া। স্মার্টফোনের কারণে বাবা মার সঙ্গে ছেলে মেয়ে অনেক খারাপ ব্যবহার
করে। অনেক সময় দেখবেন আপনার ছেলে যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে আপনি তখন যদি কোন
কাজের কথা বলেন কিংবা স্মার্টফোনটি হাত থেকে নিয়ে নেন তাহলে দেখবেন আপনার ছেলে
বা মেয়ে আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাই অবশ্যই স্মার্টফোন কিনে দেওয়া
থেকে বিরতি রাখবেন। যদি কিনে দেন তাহলে সে যেন বেশি সময় মোবাইলে পিছনে ব্যয় না
করে এবং খারাপ জিনিস থেকে বিরোধী যেন থাকে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতি করে দিক সম্পর্কে চলুন এখন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
উপরে আপনি জানতে পেরেছেন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে। আর এখন
আপনি জানতে পারবেন মোবাইল ফোন ব্যবহারের কি কি ক্ষতি রয়েছে সেই সম্পর্কে।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অবশ্যই আপনার বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়তে
হবে। চলুন এখন জেনে নেই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতি করে দিক কি কি
রয়েছে সেই সম্পর্কে।
চোখের সমস্যাঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে চোখে বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা হয়। এর কারণ হলো আপনি যখন মোবাইল ফোন দেখেন তখন সেই মোবাইলের স্কিন থেকে
সরাসরি আলো আপনার চোখের উপরে পরে যার ফলে চোখে সমস্যা হয়ে যায়। চোখে কম দেখে
এবং চোখ ভাপসা হয়ে যায় এবং দূরে জিনিস ভালো করে সে দেখতে পায় না।
হাতের সমস্যা হয়ে যায়ঃ আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করেন
তাহলে দেখবেন আপনার হাতের আঙ্গুল ব্যথা হয়ে গেছে। যার ফলে আপনার অন্যান্য কাজ
করতে সমস্যা হয়। তাই অবশ্যই অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করবেন না।
ঘুমের ঘাটতি পড়ে যায়ঃ আপনি যদি মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে যান তাহলে দেখবেন
আপনি সারারাত ধরে মোবাইল টিপছেন কিন্তু আপনি বুঝতে পারবেন না। সারারাত ধরে মোবাইল
দেখার কারণে ঘুম হয় না পরবর্তীতে দেখা যায় শরীর ম্যাচ করে এবং শরীর ক্লান্ত
হয়ে যায়। যার ফলে আপনার সারা দিনটাই অনেক খারাপ যাবে।
ঘাড় এবং মেরুদন্ড ব্যাথা হয়ে যায়ঃ আপনি যখন মোবাইল ব্যবহার করেন তখন
আপনার অবশ্যই আপনার ঘাড় নিচ করে মোবাইল ব্যবহার করতে হয়। যার ফলে আপনার ঘাড়
এবং মেরুদন্ড সমস্যা হয়ে যায় এর কারণে আপনি রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন না এবং
অন্য কোন দিকে ভালোভাবে তাকাতে পারবেন না।
মস্তিষ্কের ক্ষতি করেঃ প্রতিদিন মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে প্রতিটি
মানুষই প্রচুর আসক্ত হয়ে পড়েছে মোবাইলের দিকে। এই মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত টিপার
কারণে মস্তিষ্ক সমস্যা হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন
ব্যবহার করার কারণে ক্যান্সার এবং টিউমারের মত রোগের মধ্যে পড়ে যেতে পারে।
কানে কম শোনাঃ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে কানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা
হয়ে যায়। এর কারণ হলো হেডফোন ব্লুটুথ সিস্টেম ব্যবহার করে মোবাইলের মিউজিক শোনা
যায়। এটি যদি অতিরিক্ত শোনেন তাহলে অবশ্যই আপনার কানে নানান ধরনের ক্ষতি হবে।
মনোযোগ কমে যায়ঃ অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার কারণে অন্যান্য কাজের
প্রতি দেখবেন আপনার মনোযোগ কমে যাবে। কারণ আপনি মোবাইলে প্রচুর আসক্ত হয়ে
পড়েছেন। তাই মোবাইলে বেশি আসক্ত হয়ে জীবন নষ্ট করবেন না।
সামাজিক যোগাযোগের অভাবঃ মোবাইল ফোন আসক্তির কারণে বিভিন্ন সামাজিক
কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ কমে যায়। উপরন্তু আপনি যখন আপনার সেল ফোনে বাড়িতে খুব বেশি
সময় ব্যয় করেন তখন সামাজিক সংযোগ হারিয়ে যায়।
গোপনীয়তা লঙ্ঘনঃ বিভিন্ন মোবাইল যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত
ডেটা ভাগ করে নেওয়ার ফলে গোপনীয়তা নষ্ট হয়। সুতরাং, সবাই খারাপ ভিডিও দেখে এবং
শেয়ার করার সময় তাদের ভাল পয়েন্ট হারায়।
অপরাধে অপরাধী বুদ্ধিমত্তাঃ মোবাইল ভিডিওসহ বিভিন্ন বস্তু দেখা অনেক
মানসিক পরিবর্তন ঘটায়। ফলস্বরূপ, মোবাইল ডিভাইসে ভুল কাজ করার প্রবণতা বাড়ছে।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন খুনের ঘটনাও ঘটছে।
বিশেষ করে নারী এবং শিশু এদেরই এই সকল ক্ষতি বেশি হয়। তাই অবশ্যই আপনার শিশুকে
মোবাইল থেকে দূরে রাখবেন। সাথে সাথে নারীরা ও মোবাইল থেকে দূরে থাকবেন। অতিরিক্ত
মোবাইল ব্যবহারের ফলে এ সকল ক্ষতি ছাড়াও আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির মধ্যে
পড়তে পারেন।
মোবাইল ফোনের আবিষ্কার কে
মোবাইল ফোনের আবিষ্কার কে এ সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। কিন্তু এখন আপনি
বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন সেই সম্পর্কে। আপনি যে
মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন আপনি নিজেই জানেন না যে মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেছেন কে।
তাই আসন জেনে নেই মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন।
১৯৭৩ সালে নিউয়ার্কের আমেরিকান প্রকৌশলী কুপার প্রথম সেল ফোন তৈরি করেন। এই
কারণে আমেরিকান কুপারকে সেল ফোনের জনক বলা হয়। এপ্রিল ১৯৮৩ সাল নিউ ইয়র্কের
হিলটন হোটেলে প্রথম সেল ফোন মডেল চালু করা হয়েছিল।প্রথম সেল ফোনটি ছিল ১০ ইঞ্চি
লম্বা, ২ ইঞ্চি চওড়া এবং ৫ ইঞ্চি পুরু। এই মোবাইলের ওজন ছিল এক কেজির বেশি।
মাত্র ২০ মিনিট কথা বললে সেল ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যেত।
কিন্তু সেল ফোন বাণিজ্যিকীকরণ হতে আরও দশ বছর লেগেছিল। অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে প্রথম
সেল ফোন বাজারে আসে। সে সময় একটি সেল ফোনের দাম ছিল $4,000। অল্প অল্প করে, সেল
ফোনগুলি আজ যা আছে তাতে বিকশিত হয়েছে। আজ, বিশ্বব্যাপী 87% এরও বেশি মানুষ
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এর মানে হল যে ৫১১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সেল ফোন
ব্যবহার করে।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
মোবাইল ফোনের ক্ষতি করে দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে চলুন এখন বিস্তারিতভাবে
জেনে নেই। আপনি যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে মোবাইল
ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তা না হলে আপনি বিভিন্ন
ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়বেন তা আমরা উপরে আলোচনা করেছি। তাই এখন চলুন জেনে নেই
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে।
- দরকার ছাড়া অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে শিশুদের সামনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে নিজেকে বিরতি রাখবেন।
- এখনকার সময়ে অনেক বাবা-মায় আছে তাদের শিশু যদি একটু কান্নাকাটি করে তাহলে তাদের হাতে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে দেখা যায় তার শিশু চোখের সমস্যা হয়ে গেছে। তাই অবশ্যই বাবা মার উচিত শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন না দেওয়া।
- যখন আপনি ফোনে কথা বলবেন তখন ফোনটি কানে কাছে না ধরে একটু দূরে ধরার চেষ্টা করবেন। যাতে করে আপনার কানে কোন ধরনের সমস্যা না হয়।
- আপনি যখন ফোনে বাইরে বের হবেন তখন আপনি চেষ্টা করবেন ফোনটি হাতে রাখা কিংবা ব্যাগের মধ্যে রাখা।
- শিশুদেরকে মোবাইল ফোন না দিয়ে তাদের হাতে বই কিম্বা খেলনা ধরিয়ে দিন।
- আপনি যখন মোবাইলের চার্জ দিবেন সেই অবস্থায় কথা বলবেন না।
- অতিরিক্ত ভিডিও কলে কথা বলা থেকে নিজেকে বিরতি রাখবেন। কারণ অতিরিক্ত ভিডিও কল কথা বলার কারণে আপনার চোখে ফোনের স্কিনের আলোর প্রভাব পড়বে।
- রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল দেখা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
প্রিয় পাঠক আপনি এখন জানতে পারবেন মোবাইল ফোনে ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
সম্পর্কে। আপনি যদি এই সকল পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আপনি মোবাইল ফোনের
ক্ষতি করে দিক থেকে খুব সহজে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। তবে মোবাইল ফোন আমাদের
যেহেতু জরুরী আমাদের সকলের ফোন লাগে।
কিন্তু অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরতি রাখবেন। বেশি সময় ফোনে
আমাদের কাজ থাকেনা। তাই আপনার যত সময় কাজ থাকবে ঠিক টাইম অনুযায়ী অত সময় ফোন
ব্যবহার করবেন। যদি আপনার চোখে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে ক্ষতি হয়ে থাকে
তাহলে আপনি খুব দ্রুত ভাবে একজন ভালো চক্ষু ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। মোবাইল ফোন
আমাদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে
আপনি সারা বিশ্বের খবর দেখতে পারবেন। এবং পড়াশোনা করার জন্য এখন ছাত্র-ছাত্রীরা
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে খুব সহজে খবর নেওয়া কে
বলা হয় স্মার্ট মোবাইল ফোন। তাই চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের
সুবিধা গুলো কি কি রয়েছে সেই সম্পর্কে।
ভিডিও অডিও কলে যোগাযোগের মাধ্যমঃ আগেকার মানুষ আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ
করার জন্য চিঠি আদান প্রদান করত। কিন্তু এখন এই সময়ে হাতের স্মার্টফোন ব্যবহার
করে খুব সহজেই ভিডিও কল এবং অডিও কলে কথা বলা যায়। বিশ্বের সকল প্রান্তরে
আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আপনি খুব সহজেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে কথা বলতে পারবেন।
মোবাইল ফোনে ক্যালেন্ডার এবং ঘড়িঃ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময়
আজকে কত তারিখ সেটি দেখে নিতে পারবেন এবং কি ১০০ বছর আগের তারিখও আপনি খুব সহজেই
দেখে নিতে পারবেন। এবং এর পাশাপাশি আপনি মোবাইলে কয়টা বাজে এটাও দেখে নিতে
পারবেন। মোবাইল থাকলে টাইম দেখার জন্য ঘড়ি ব্যবহার করা লাগে না। মোবাইলে আপনি
খুব সহজেই টাইম দেখে নিতে পারবেন।
মোবাইলে এলার্মের সুবিধাঃ মোবাইলে এলার্ম ব্যবহার করে আপনি সকালে খুব সহজে
ঘুম থেকে উঠে যেতে পারবেন। শুধু তাই নয় রমজান মাসে আপনি সেহরি খাওয়ার জন্য
মোবাইলে এলার্ম ব্যবহার করতে পারবেন। এবং কি আপনার ঘুমানোর পরে কয়টার সময় আপনি
উঠবেন খুব সহজেই আপনি সেই একই টাইমে উঠে যেতে পারবেন।
ইন্টারনেট ব্যবহারে সুবিধাঃ স্মার্টফোন ব্যবহার করে আপনি দেশের বিভিন্ন
জায়গার নিউজ শুনতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের খবর
পাওয়া যায়। এবং ইন্টারনেটে প্রতি সময়েই খবর আপডেট হয় এটিও আপনি পেয়ে যাবেন।
পড়াশোনার দিকে সুবিধাঃ আপনি যদি আপনার হাতের স্মার্টফোনটি অন্য কোন কাজে
ব্যবহার না করে আপনি যদি পড়াশোনার দিকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার অনেক লাভ
হবে। এখনকার সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে আপনার পড়া পেয়ে যাবেন।
স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করাঃ আপনি কি জানেন আপনার হাতের
স্মার্টফোন ব্যবহার করে আপনি টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। অন্য কোন কাজে ব্যবহার
না করে হুদাই ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও না দেখে আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুব
সহজে প্রতিদিন অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। স্মার্টফোন ব্যবহার করে আপনি যদি টাকা
আয় করতে চান এখানে ক্লিক করুন।
হিসাব করার সুবিধাঃ স্মার্টফোন ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে যে কোন জিনিস
হিসাব করে নিতে পারবেন। এখনকার সময়ে হিসাব করার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা
হয় না। স্মার্টফোন ব্যবহার করে আপনি হিসাব করে নিতে পারবেন।
ইমেইল ব্যবহারের সুবিধাঃ ইমেইল ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের খবর আদান
প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আপনার অফিসের নানান ধরনের তথ্য আদান প্রদান
করতে পারবেন ইমেইল ব্যবহার করে। সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং অফিসের কাজ করতে পারবেন
ইমেইল ব্যবহার করার কারণে। আপনার যদি ইমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে কিভাবে
ফিরিয়ে আনবেন। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনে উপকারিতা আছে এবং অপকারিতা ও আছে। তাই আপনাকে বুঝে
নিতে হবে কোনটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোবাইল ফোনের
উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না।
তেমনি মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে বলেও শেষ করা যাবে না। কিন্তু মোবাইল ফোনের
উপকারিতা চেয়ে অপকারিতায় সবচেয়ে বেশি। বর্তমান সময়ের উপরে শিশু থেকে শুরু করে
সকল ধরনের মানুষের কাছেই স্মার্টফোন রয়েছে। কিন্তু অবশ্যই আপনাকে দেখতে হবে যে
এই স্মার্টফোনটি সে কোন দিকে কাজে লাগাচ্ছে।
যদি আপনার ছেলে মেয়ে অনলাইন ক্লাস করে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ
রেখে সে উপকারিতা হচ্ছে ঘরে বসে থেকে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্স করছে কিনা এবং
সে বিশ্বে সম্পর্কে জানতে কিনা এসব আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে। কারণ আপনার
ছেলে মেয়ে যদি এই সকল জিনিস না দেখে অন্যান্য জিনিস দেখে তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝে
নেবেন আপনার ছেলে মেয়ে দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং তার জন্য সামনে নানান ধরনের
বিপদ রয়েছে।
এর কারণ হলো এখনকার শিক্ষার্থীরাই সামনের ভবিষ্যৎ। এই সকল জিনিস যদি তারা দেখে
তাহলে তারা সামনের দিকে অবশ্যই অনেকটাই এগিয়ে চলতে পারবে। তবে সে যত ভালো জিনিসই
দেখে না কেন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন তাকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত
মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে নানান ধরনের সমস্যা হবে সেইগুলো আপনি উপরে জানতে
পেরেছেন।
তাই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে নিজের ছেলে মেয়েকে বিরতি রাখুন এবং
আপনি নিজেও বিরত থাকুন। কারণ বাবা-মা যে শিক্ষা দিবে ছেলে-মেয়ে সেই শিক্ষাই
গ্রহণ করবে। তাই আপনার ছেলে মেয়েকে সঠিক শিক্ষা দিয়েন। সামনের ভবিষ্যতের জন্য
তৈরি করে নিয়ে। আপনি জানতে পারলেন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে।
বিস্তারিতভাবে জানতে নিচে পড়তে থাকুন।
মোবাইল ফোনের অপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা
আপনি এর আগে জানবেন মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিন্তু
এখন আপনি জানতে পারবেন মোবাইল ফোনের অপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ের উপর বেশিরভাগ মানুষই মোবাইলকে তারা খারাপ দিক দেখে। এর ফলে সমাজে
বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকে। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির দিক
রয়েছে এইগুলো অবশ্যই বিতর্ক প্রতিযোগিতার দিকে বলা হয়ে থাকে।
মোবাইল ফোন যদি আপনি ভালো কাজে ব্যবহার না করে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন তাহলে
অবশ্যই আপনার নানান ধরনের ক্ষতির দিক রয়েছে। এখনকার ছেলেমেয়ে দেখবেন তারা ফোনের
প্রতি খুবই আসক্ত হয়ে পড়েছে। গেম খেলে নানান ধরনের ভিডিও দেখে কিছু কিছু ছেলে
মেয়ে রয়েছে তারা প্রচুর পরিমাণে খারাপ ভিডিওতে আসক্ত এর কারণে তার বিভিন্ন
ধরনের ক্ষতি হচ্ছে।
বিশেষ করে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করার কারণে আপনার যে ক্ষতিটি হবে সেটি হল আপনার
চোখে সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে। এরপরে ক্ষতি হবে আপনার মস্তিষ্কে। উপরে আপনি জানতে
পেরেছেন অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে। তাই এখন আর
বিস্তারিতভাবে বললাম না।
যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে উপরে দেখেন মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতির দিকে
রয়েছে সেটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আসুন। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনেক ভালো কাজে
লাগানো যায় কিন্তু এখন সেটা আমরা করি না তাই আমরা এ সকল বিপদের মধ্যে পরি। আপনি
মোবাইল ফোন হুদাই ব্যবহার না করে অনলাইনে মাধ্যমে প্রতিদিন অনেক টাকা আয় করতে
পারবেন।
স্মার্টফোন ব্যবহার করে কিভাবে টাকা আয় করবেন বিস্তারিতভাবে জানতে হলে এখানে
ক্লিক করুন। বিভিন্ন সময়ে অফিসের কাজের জন্য অনেকেই অনেক সময় ফোন
ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটি তার জন্য মোটেও উচিত নয় আপনি যে কাজের জন্য
মোবাইল ব্যবহার করেন না কেন অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করা আপনাকে চলবে না। আশা করি
বিষয়টা আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে নিচে
মন্তব্য করে জানিয়ে দিতে পারবেন। আমরা যথাসময়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিব।
লেখকের মন্তব্যঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটিতে আপনি সম্পূর্ণভাবে জানতে পারবেন ছাত্র জীবনে
মোবাইল ফোনের অপকারিতা এবং আপনি আরো জানতে পেরেছেন মোবাইল থেকে কিভাবে বাঁচতে
পারবেন এবং মোবাইলের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে দিক সম্পর্কে। অতিরিক্ত মোবাইল
ব্যবহার করা আমাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি রয়েছে।
তাই আপনাদেরকে আমি বলব অবশ্যই আপনি অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করবেন না। আপনার যা
প্রয়োজন হবে মোবাইলে প্রয়োজনটা মিটে গেলে মোবাইল ফোন আর ব্যবহার করবেন না। না
হলে আপনি আর্টিকালিটির মাধ্যমে যে অপকারিতা গুলো জানতে পেরেছেন এবং ক্ষতিগুলো
জানতে পেরেছেন সেইগুলোর মধ্যে খুব সহজে পড়ে যাবেন।
আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার যে বন্ধু বা আপনার কাছের
মানুষ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে তাদের কাছে আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিন।
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনি আমাদেরকে মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন। এত
সময় সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সাব্বির গাইড বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url